প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতরা পাবেন ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতরা বিমা ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাবেন। যা দেশীয় টাকায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার মতো। তবে আহতরা ক্ষতিপূরণ একটু কম পাবেন। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ইউএস বাংলার মোট লায়াবিলিটি (দায়) ১০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় টাকায় যা দাঁড়ায় ৮২০ কোটি টাকা।এর মধ্যে উড়োজাহাজের জন্য কাভারেজ ৭০ লাখ ডলার। আর বিমান, যাত্রী ও পাইলটদের আলাদা ‘মূল্য নির্ধারণ করে বিমা করা হয়। ইউএস বাংলার ক্ষেত্রে পাইলটের ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং যাত্রীদের ২ লাখ ডলারের বিমা সুবিধা রয়েছে।
প্লেন দুর্ঘটনার পরপরই বিমা দাবি করে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এর ফলে যাত্রীদের দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধের লক্ষ্যে দুর্ঘটনার দিন সোমবার বিকালেই কাঠমাণ্ডু পৌঁছেছে কোম্পানিগুলোর লস অ্যাডজাস্টার বা সার্ভেয়ারের কর্মকর্তারা। এরপর গত বুধবার আইডিআরএ সঙ্গে দেশি বিমা কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, সাধারণ বিমা কর্পোরেশন (এসবিসি) এবং বিট্রিশ প্রতিষ্ঠান কেএম দাস্তুর কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠেকে বলা হয়, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার ১ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, এভিয়েশন বিমার আওতায় ইউএস-বাংলার যাত্রীসহ সম্পদের সব ঝুঁকি গ্রহণ করেছে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স।এছাড়াও আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বিমা করা হয়েছে ‘কে এম দাস্তুর’ নামের ব্রিটিশ ইন্স্যুরেন্সে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরই এই দুটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিহত যাত্রীদের স্বজন ও আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ পাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কোম্পানিও।
এ বিষয়ে এসবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধের জন্য আমরা কাজ করছি। সার্ভেয়ারের রিপোর্ট পেলেই বিমা দাবি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রথমে নিহতদের স্বজনদের বিমা দাবি পরিশোধ কার হবে। এরপর আহতদের ও বিমানের ক্ষতিরপূরণ দেওয়া হবে।