South east bank ad

বোরোর সোনালী রঙে সেজেছে মাঠ, চলছে বোরো ঘরে তোলার উৎসব

 প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

বোরোর সোনালী রঙে সেজেছে মাঠ, চলছে বোরো ঘরে তোলার উৎসব

এম.এম.জাহিদ হাসান (আনোয়ারা):

কৃষকের ঘামে অর্জিত বোরো ধানের সোনালী রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ, ধানের থোকা বৈশাখের দখিণা বাতাসে দোল খেতে দেখে কষ্ট ভুলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। তাই করোনার এই বিপর্যয়ে আটঘাট বেঁধে বোরোর নতুন অতিথি ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে কৃষকরা। ফজর ফুটতেই কাস্তে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে তারা তারপর দিনভর ধান কাটা এবং তা বোঝায় করতে ব্যস্ত থাকে অপরদিকে মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত কৃষক পরিবারের অন্যান্যরা। এবার আবহাওয়া ভালো। ঝড়-বৃষ্টি কম। শ্রমিকের সংকট নেই। নেই আগাম বন্যার শঙ্কা। সব মিলিয়ে একটা ভালো বছর পেয়েছেন কৃষকেরা। এখন খুশি মনে ধান গোলায় তুলছেন তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাইলধর,বারখাইন,বরুমচড়া,তৈলারদ্বীপ, জুইদন্ডী,রায়পুর,পরৈকোড়াসহ সারা উপজেলার ফসলের মাঠে সোনালি ধান আর ধানে যেন বিলগুলো পরিপূর্ণ হয়ে আছে। ধু ধু চোখে নজর কাড়ছে বোরোর ফসল। ধানের গন্ধে মৌ মৌ করছে পুরো গ্রামীণ জনপদ। লগডাউনের ফলে চকরিয়া-বাশখালির ধান কাটার শ্রমিকরা আসতে না পারাই ধান ঘরে তুলতে সংকট দেখা দিলেও তাদের স্থান দখলে নিয়েছে আত্যাধুনিক ধান কাঁটার মেশিন। যা ঘন্টা কানেকের মধ্যেই কানি জমিনের ধান কেটে বিছিয়ে রাখে।

এই বারের বোরো ধানের ফসল নিয়ে কথা হয়, বারাখাইন ইউনিয়নের কৃষক আবুল ফয়েজের সাথে তিনি বলেন, এবার অন্যান্য বারের তুন ধান ভালা অইয়ি। পল্টার অভাবের হারনে ধান গোলাত তুলতে একটু হষ্ট অর।

করোনার প্রাদুর্ভাবে মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করতে এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বোরোর চাষ বৃদ্ধি করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার আনোয়ারায় ৫ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ হয়েছে ৬ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গতবার উপজেলা প্রতি হেক্টরে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন হলেও এবার প্রতি হেক্টর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫.২৩ হবে বলে আশা করা যায়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন,আমাদের উপর করোনাকালীন সময়ে সর্বস্তরের মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো এরই সাথে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো জমিতে বেশি ফলনশীল ধান এবং চাষাবাদ বৃদ্ধি করার । তাই এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রথমবারের মত ৫ হাজার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছিলো অধিক ফলনশীল হাইব্রিড ধানের বীজ। যা দিয়ে চাষাবাদ করা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর জমি।

তিনি আরো বলেন, এই বারের প্রায় ৬১২০ হেক্টরেও বেশী জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এবং দেখা যায় এবার অন্যান্য বারের চেয়ে ধান অনেক ভালো হয়েছে।

ধানের দামের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, নতুন ধানের মূল্য ২১০-২৩০ পর্যন্ত এবং পুরাতন ধানের মূল্য ২৭০-৩০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: