শিরোনাম

South east bank ad

দ্রব্যমূল্যে দিশেহারা মধ্যবিত্ত

 প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

সুনান বিন মাহাবুব (পটুয়াখালী) :
পটুয়াখালীর বাজারগুলোতে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া, নি¤œ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জীবন নির্বাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পেঁয়াজ, রসুন, মাছ, গোশত, শাকসবজি, ডাল, তরিতরকারীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালীর নিউমার্কেট, পুরানবাজার, বাঁধঘাট বাজারে প্রতি কেজি শসা, গাজর, করলা, কাঁকরোল, ঢেঁড়স ও বরবটি ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বড় চিংড়ি ৮০০, ছোট চিংড়ি ৫০০, রুই ৩০০ থেকে ৪০০, সরপুঁটি ২০০, কই ১৫০ থেকে ২৫০, কাতলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা কেজি।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় সর্বশেষ যোগ দিয়েছে চাল। শহরের বিভিন্ন চালের বাজারে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, নাজির ৬৭ থেকে ৭১ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাল-তেলের মতো বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। বড় কক মুরগি ৩০০-৩৪০ টাকা কেজি, সোনালী মুরগির কেজি ৩৬০-৩৮০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৯০ থেকে ৬২০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবুজবাগের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বাপ্পি বলেন, শাক সবজির দাম একটু কম হলেও মাছ মাংশের দাম চড়া। মাছ মাংশের দাম আমরা বেশি চাইলে ক্রেতারা খেতে চায় না। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসা নিয়ে আছি বিপাকে।

পটুয়াখালী সোনার বাংলা সমবায় সমিতির ঋন কর্মকর্তা আউয়াল জানান, আমি সর্বসাকুল্যে বেতন পাই ৮০০০ টাকা। এই বেতনে আমার সারা মাস চলতে হয়। বাজারে যেয়ে মাছ মাংশের দাম জিজ্ঞেস করতেও ভয় পাই। মাসে একবারও ভালো বাজার করতে পারি না।

এদিকে দোকান থেকে ২কেজি চাল কিনে ফিরছিলেন পটুয়াখালী সদরের রিক্সাচালক জাকির। দোকানি দাম নিল ১২০ টাকা। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে তিনি ২০০ টাকাও আয় করতে পারেনি। এর মধ্যে মহাজনের টাকা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে তিনি।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান, সরকার নির্ধারিত পন্য তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন বাজারে দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী পন্যের অতিরিক্ত মূল্য দাবি করলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: