মুঠোফোন গ্রাহক বেড়েছে ৬ লাখ

দেশে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যা ৬ লাখ বেড়ে ১৩ কোটি ৩৭ লাখে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ২ লাখ বেড়ে ৫ কোটি ৪১ লাখ হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সরকারি হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রকৃত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ। আবার বিশ্বব্যাংকের এ পরিসংখ্যান প্রত্যাখ্যান করে সরকার বলেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়ে বিটিআরসির হিসাবে কোনো ভুল নেই।
সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নির্ধারণে বিটিআরসির নিয়ম হলো, ৯০ দিন বা তিন মাসের মধ্যে একজন ব্যক্তি একবার এটি ব্যবহার করলেই তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আর দেশে চালু থাকা মোট সক্রিয় সিমের হিসাবে নির্ধারণ করা হয় মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
বিটিআরসির তথ্যমতে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩ লাখ। সেই হিসাবে এক বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ। আবার ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪ কোটি ৩৬ লাখ। এক বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে ৯৫ লাখ।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা ২ লাখ বেড়ে ৫ কোটি ৬৬ লাখ হয়েছে, যা নভেম্বরে ছিল ৫ কোটি ৬৪ লাখ। একই সময়ে বাংলালিংকের গ্রাহকসংখ্যা ৩ কোটি ২৯ লাখ থেকে এক লাখ কমেছে। এ ছাড়া রবি আজিয়াটার গ্রাহক ২ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার থেকে বেড়ে ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ বেড়ে ১ কোটি ৭ লাখ হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে পুরোনো মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহক ১০ লাখ ৩৪ হাজার থেকে কমে ১০ লাখ ৭ হাজার হয়েছে। তবে একই সময়ে সরকারি অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকসংখ্যা ৪০ লাখ থেকে বেড়ে ৪১ লাখ হয়েছে।
সার্বিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়লেও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে ১৫ হাজার কমে ৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার হয়েছে। আর এ সময়ে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৩ লাখ থেকে ২ লাখ বেড়ে ২৫ লাখ হয়েছে।