১৪৯ করলেই সিরিজ বাংলাদেশের

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লেজের দিকে খানিকটা লড়াই করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শুরুর ব্যাটসম্যানদের টপাটপ সাজঘরে পাঠিয়ে যে চাপ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ, সেটি থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি সফরকারীরা। তামিম-সৌম্যদের সামনে জয়ের জন্য তাই কেবল ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে তারা।
দেড়শ ছুঁইছুঁই এই লক্ষ্য তাড়া করতে সফল হলেই সিরিজ হবে বাংলাদেশের। সেটিও এক ম্যাচ হাতে রেখে। প্রথম ম্যাচে এ মাঠেই ৬ উইকেটে জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। কুয়াশা ভেজা সকালে মাঠে এসে চড়ে বসে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের উপর। পরে ৪৩.৪ ওভারে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট করে দেয় উইন্ডিজকে।
মোস্তাফিজ, মিরাজ, সাকিবরা এদিন রান চেপে ধরার সাথে সম্মিলিত আক্রমণে উইকেট তুলেছেন। সবচেয়ে সফল মেহেদী মিরাজ। এ অফস্পিনার ৯.৪ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। আগের সেরাটি ছিল ২৯ রানে ৪ উইকেট।
আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসানের নামের পাশে এদিন উইকেট ২টি, ১০ ওভারে ৩০ রান খরচায়। কিপটে বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ৭.৫ ওভারে ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন সবে ১৫ রান, ৩টি মেডেন তুলেছেন।
গত ম্যাচে অভিষিক্ত তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন এক উইকেট। রুবেল টানা দ্বিতীয় ম্যাচে থাকলেন উইকেটশূন্য।
সকালে শুরুর আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের বলে মিরাজের ক্যাচ হয়ে ফেরেন সুনীল আমব্রিস (৬)।
সেই মিরাজ জোড়া সাফল্য আনেন দ্রুতই। আরেক ওপেনার ওটলে (২৪) যখন বেশ এগোচ্ছিলেন, মিরাজ তাকে তামিমের তালুবন্দি করে সাজঘরের পথ দেখান। দুই বল বাদে তিনি বোল্ড করেন জশুয়া ডি সিলভাকে (৫)।
১৫তম ওভারে এসে আন্দ্রে ম্যাক্কার্থিকে বোল্ড করে উইন্ডিজের বিপদ বাড়িয়ে তোলেন সাকিব। রানের খাতা খোলার আগেই শান্ত-মুশফিক যুগলবন্দীতে কাইল মেয়ার্সকে রানআউট করে উইন্ডিজ ইনিংসের অর্ধেক সাইডবেঞ্চে বসিয়ে দেন টাইগাররা।
এক সময় ৮৮ রানে অষ্টম উইকেট হারায় সফরকারীরা। অধিনায়ক জেসন মোহাম্মেদ ১১, এনক্রমা বোনের ২০, রেমন রেইফার ২ রানে ফিরে গেলে।
সেখান থেকে রোভম্যান পাওয়েল ২ চার এক ছয়ে ৬৬ বলে ৪১ করলে দেড়শর কাছে যায় উইন্ডিজ। পাওয়েলকে সঙ্গে দিয়ে আলঝারি জোসেফ করেছেন ১৭ ও অপরাজিত ১২ রান এনেছেন আখিল হোসেন।