শিরোনাম

South east bank ad

চাঞ্চল্যকর ফাতিমা হত্যা মামলা: ২ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

 প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

চাঞ্চল্যকর ফাতিমা হত্যা মামলা:  ২ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিকসময়ে ছিনতাই, খুন-গুমসহ নৃশংসতম অপরাধসমূহ নিয়ে এলিট ফোর্স র‌্যাব বরাবরের মতই সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে কাজ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধের মূল রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

গত ০৭/০৪/২০২১ইং তারিখ ফাতেমা বেগম (৬১) নামের একজন বৃদ্ধ মহিলাকে সাভারের বিরুলিয়ায় তার নিজ বাসায় অজ্ঞাতনামা আসামীরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। গত ০৯/০৪/২০২১ তারিখে মৃতার ছেলে বাসায় এসে মা'কে দেখতে না পেয়ে অনেক খোজাখুজির একপর্যায়ে বাথরুমের পাশে তার মায়ের পচাঁ গলিত লাশ দেখতে পান এবং পরবর্তীতে সাভার মডেল থানার সহযোগিতায় ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে র‌্যাব-৪ উক্ত চাঞ্চল্যকর মামলাটি পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে গতকাল দুপুর ০২.০০ ঘটিকা হতে রাত ০৮.০০টা পর্যন্ত সাভার মডেল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিম্নোক্ত ০২ জন খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ

(১) মোঃ রবিউল মির্জা (২৮), জেলা- নওগাঁ।
(২) মোঃ কামরুল ইসলাম (১৮), জেলা-গাইবান্ধা।

এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং হত্যার দায় স্বীকার করে।তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনার দিন আসামীদ্বয় ভিকটিমের বাসার পাশেই আরেকটি বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলো। ভিকটিমকে গোসলখানায় যেতে দেখে আসামীদ্বয় বাসায় ঢুকে চুরি করার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাধা প্রদান করে এবং আসামীদ্বয় পা দিয়ে সজোরে আঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে আসামীদ্বয় ভিকটিমকে বাথরুমেই হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামাফিক রবিউল ভিকটিমের ঘর থেকে একটি কোদাল নিয়ে এসে ভিকটিমের হাতে, মুখে, ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাথরুমের পাশে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় যাতে কেউ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মর্মে সন্দেহ না করতে পারে সেজন্যে সে পাশের বাসায় পূর্বের ন্যায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে থাকে। অন্যদিকে কামরুল উক্ত হত্যাকান্ডের পর নিজ জেলা গাইবান্ধায় গিয়ে আত্মগোপন করলেও পরবর্তীতে ঢাকায় ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, রবিউল মৃতার বাসা নির্মাণের সময় রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছিলো এবং সে সূত্রে ভিকটিমের বাসায় আসামীদ্বয় তার পূর্ব পরিচিত।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়’কে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: