৬৯ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২

সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। র্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ১ টি বাস যোগে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান গাঁজা (মাদক) নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার আশে পাশে সুবিধাজনক স্থানে হস্তান্তরের জন্য আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল ০৮.৫০ ঘটিকায় রাজধানীর আদাবর থানাধীন শ্যামলীস্থ তাজ ম্যানশন এর সামনে পাকা রাস্তার উপরে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। অতপর ০৯.১৫ ঘটিকায় ঢাকা-ফেনী রোডের একটি বাস উক্তস্থানে উপস্থিত হলে বাসটি সন্দেহ হলে থামার জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি চেক পোস্টের সামনে রাস্তার পাশে থামিয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী (ক) মোঃ এমদাদুল হক(২৪), (খ) জামাল উদ্দিন (৩৫), (গ) আব্দুল আলী@ মানিক (৩৪), (ঘ) মোঃ পারভেজ হোসেন (২৯) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিষিদ্ধ গাঁজার চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তারা অস্বীকার করে। তারা জানায়, খালি বাস নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা থেকে শ্রমিক আনতে যাচ্ছে। পরবর্তীতে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদে তাদের গাড়িতে লুকিয়ে রাখা নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য(গাঁজা) আছে বলে স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে বাসের প্রতিটি সিট লাইটের ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ৬৯ (উনসত্তর) কেজি নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা পাওয়া যায়। ধৃত আসামীরা আরো জানায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রমিক আনা নেওয়ার অন্তরালে দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবনকারীদের নিকট নিষিদ্ধ মাদক গাঁজা বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।