এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জালিয়াতি চক্র অর্থেরলোভে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের জাল সনদপত্র বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তৈরী করে আসছে। এ ধরনের জালিয়াত চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় “মৌসুমি ফোন এন্ড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” নামক একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের জাল সনদপত্র বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তৈরী করে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় “মৌসুমি ফোন এন্ড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে নিম্নোক্ত ০২ জন জালিয়াতি চক্র'কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ
(১) মোঃ রবিউল আলম (৪২) জেলা-গাইবান্ধা
(২) মোঃ বেল্লাল হোসেন (২২) জেলা- দিনাজপুর।
এছাড়াও জালিয়াতি চক্রের নিকট হতে ২ টি ভুয়া এইচএসসি সার্টিফিকেট, শিক্ষাবোর্ডের ভুয়া সনদপত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১৫ টি খালি কাগজ, ০১ টি মনিটর, ০১ টি স্ক্যানার, ০১ টি কালার প্রিন্টার, ০১ টি সিপিইউ, ০১ টি পেনড্রাইভ, ০১ টি মডেম এবং ০২ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত জালিয়াত চক্রটি তাদের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত অর্থের লোভে সনদপত্র জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতেও এরুপ অসাধু জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।