শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু মোছাঃ রাফিয়া খাতুন (১২) কে হুইল চেয়ার প্রদান করলেন পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা
বাংলাদেশ পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারই অংশ হিসেবে মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত জনাব, মোঃ জাহিদুল ইসলাম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একের পর এক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছেন। পুলিশ সুপার একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেখে নবগঠিত দর্শনা থানার গড়াইটুপি গ্রামের আনারুলকে গত ০১.০৯.২০২০ খ্রি. তারিখে ০১ টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন এবং ০২.০৯.২০২০খ্রি. তারিখে আলমডাঙ্গার গোপীনগর গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত খায়রুন নেছাকেও ০১ টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন।
উক্ত বিষয়গুলি জেলা পুলিশ চুয়াডাঙ্গার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। তাছাড়া সংবাদটি বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পুলিশ সুপারের মানবিক বিষয়টি নজরে আসে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর। এরই ধারাবাহিকতায় আলমডাঙ্গা থানার জনৈক মোঃ সাঈদ হোসেন, পিতা-আবু মুছা, গ্রাম-গোপীনগর, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার সাথে যোগাযোগ করে দামুড়হুদার রামনগর গ্রামের জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছাঃ রাফিয়া খাতুন (১২) কে ০১টি হুইল চেয়ার প্রদানের বিষয়ে কথা বলেন। যার প্রেক্ষিতে ২৯.১১.২০২০ খ্রি. তারিখ বেলা অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছাঃ রাফিয়া খাতুন (১২)কে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার কার্যালয়ে নিয়ে আসলে নাটুদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম এর আর্থিক সহযোগীতায় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোছাঃ রাফিয়া খাতুন (১২)কে ০১টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন। এসময় রাফিয়া খাতুনের মায়ের মুখে কৃতজ্ঞতার এক অকৃত্রিম হাসি ফুঁটে উঠে।
পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা বলেন, সমাজের সর্বস্তরের সামর্থবান মানুষ যদি অসহায় সুবিধা বঞ্চিতদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয়, তাহলে আমাদের সমাজে সুবিধা বঞ্চিতদের মুখেও হাসি ফোঁটানো সম্ভব। এসময়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সকল বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন।
