‘ওভারটেক-ওভারস্পিড সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ’

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন।

তিনি বলেন, ওভারটেকিং, ওভারলোড ও ওভারস্পিড সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। নিরাপদ সড়ক উপহার দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। ট্রাফিক সাইন (সংকেত) জেনে আইন মেনে গাড়ি চালালে সড়কে বিশৃঙ্খলা থাকবে না।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মহানগরীর বিআরটিসি বাস স্টেশন সংলগ্ন আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক শৃঙ্খলা’ বিষয়ক বাসচালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রেখে গাড়ি চালানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাইওয়ের তুলনায় শহরে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হলেও পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আবার দুর্ঘটনার জন্য শুধুমাত্র গাড়িচালক-হেলপারদের দায়, এমনটা নয়। যিনি গাড়ির মালিক তাকে এবং পথচারীদের দুর্ঘটনা রোধে সচেতন হতে হবে। সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে ইঞ্জিন, জ্বালানি, ব্রেক, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো কষ্টসাধ্য।

চালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাদকসেবন করে কিংবা চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে গাড়ি পার্কিং, অযথা হর্ন বাজানো, একটানা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি চালানো যাবে না। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থাপনা ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় সাবধানে গাড়ি চালাতে হবে।

ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রইছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী। এতে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাবিয়ান মিয়া, জিয়াউল হাসান ও সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় শতাধিক বাসচালক অংশ নেন।