শিরোনাম

South east bank ad

কারো ইন্ধনে পরিবার সুমনের লাশ নিচ্ছে না : পুলিশ

 প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   পুলিশ

কারো ইন্ধনে পরিবার সুমনের লাশ নিচ্ছে না : পুলিশ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখের মরদেহ তার পরিবার কারো ইন্ধনে নিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।

রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীতে নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

এইচ এম আজিমুল হক বলেন, শনিবার রাতে ময়নাতদন্তের পর থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে লাশ রাখা হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করার জন্য। কিন্তু পরিবারের প্রোপার গার্জিয়ান না থাকায় হস্তান্তর সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আজ ২১ আগস্ট সারাদিন সুমন শেখের স্ত্রী, তার ভাই ও শ্যালককে ফোন দেওয়া হলেও তারা কেউ আসেননি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের ব্যবহৃত ফোনটি অন্যকে দিয়ে রিসিভ করিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রপার গার্ডিয়ান না পাওয়া পর্যন্ত সুমন শেখের লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের হিমঘরে রাখা হবে। লাশ না নেওয়ার প্রক্রিয়াটি যদি দীর্ঘ হয় তাহলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে রাখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আজিমুল হক বলেন, আজ শনিবার আমার বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা সুমন শেখের পরিবারের সদস্যদের ফোন দিয়েছেন। তারা ফোন ধরে আসছি-আসব করছেন। অনেক সময় ফোনও ধরছেন না। লাশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন তারা। তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছেন।

পরিবারের সদস্যরা অজানা কারণে লাশ নিতে বিলম্ব করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা রহস্য তৈরির চেষ্টা করছেন। পেছন থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

পরিবার দাবি করেছে, শনিবার সকালে থানায় গিয়ে তারা সুমনের জন্য নাস্তা দিয়েছে। এরপর থানা থেকে বলা হয় আসামিকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনারা আদালতে যান। এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

একটি মামলায় শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার হন সুমন শেখ। ওইদিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি গলায় ফাঁস নেন বলে দাবি করছে পুলিশ। তবে সুমনের পরিবার তা মানতে নারাজ। তারা তদন্তপূর্বক মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চান।

এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার এসআই হেমায়েত হোসেন ও কনস্টেবল মো. জাকারিয়া। এ ছাড়া তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।

BBS cable ad

পুলিশ এর আরও খবর: