ওষুধের কাঁচামাল নামে ঢাকায় ঢোকে ভয়ংকর মাদক আফিম

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
আফিম নামে মাদকের বড় চালান ঢাকায় আসছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে নজরদারি বাড়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ কেজি আফিমসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ে (উত্তর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমাদের কাছে তথ্য আসে- একটি চক্র ওষুধের কাঁচামালের আড়ালে আফিমের বড় চালান ঢাকায় এনে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে নজরদারি জোরদার করি ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রেতা সেজে রাজধানীর পুরানা পল্টন লেন (ভিআইপি রোড) থেকে দুই কেজি আফিমসহ মো. আবুল মোতালেব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া নামে আরেকজনকে এক কেজি আফিমসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোতালেব নোয়াখালীর বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ম্যানপাওয়ার ব্যবসায় জড়িত। জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়ার বাড়ি জামালপুরে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি বেসরকারি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। চাকরি-ব্যবসার আড়ালেই তারা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, আফিম একটি ‘ক’ শ্রেণির মাদক। উদ্ধারকৃত তিন কেজি আফিমের আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে ৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি- ভারত থেকে এ চালান বাংলাদেশে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদকের হাব হচ্ছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান থেকেই এ আফিমের চালান ওষুধের কাঁচামাল নাম দিয়ে ফেনী থেকে ঢাকায় আনা হয়। এ চক্রে জড়িত আরো দুইজনের নাম আমরা পেয়েছি। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ নেটওয়ার্কের সব সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে আফিমের উৎস এবং গন্তব্য কোথায় ছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাবে।