শিরোনাম

South east bank ad

মানুষের ভিতরে কেন এমন পশুর প্রবৃত্তি?: প্রশ্ন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার

 প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   পুলিশ

মানুষের ভিতরে কেন এমন পশুর প্রবৃত্তি?: প্রশ্ন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার

তেমনিভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দেওয়া আবিদা সুলতানার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

রাতে একজন মায়ের অনুভূতি কেমন হয়, যদি আদরের সন্তানকে অন্যের লালসার বলি হ‌তে দেখতে হয়!! মানুষের ভিতরে কেন এমন পশুর প্রবৃত্তি? কেন এত যৌন কাম? এর শেষ কোথায়?

পঞ্চান্ন/ষাট বছরের প্রবীণ,‌ হাড্ডী কঙ্কালসার পনের ষোল বছরের প্রতিবন্ধীকে তখন ধর্ষণ করে তখন তাকে কী বলা যায়? ??
আবার এমন আচরণের জন‌ অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। বক্তব্য.. আমার ভাতিজিকে আমি তো একটু আদর করতেই পারি!!!!
আহ্ !!! কী আজব!!

মায়ের চোখের অঝোর শ্রাবণ আমাকে আহত করে!! কী করব?? কয়জন মাকে স্বস্তি দিতে পারি আমরা?

কী ছেলে, কী মেয়ে .. কখন কীভাবে কার লালসার শিকার হবে বোঝা কি সম্ভব?

রক্তাক্ত ছোট্ট ছেলেটিকে দেখে কী মা প্রথমে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার‌‌ই সহপাঠী বড় ক্লাসের ছেলেটির শিকার হতে হবে তার সন্তানকে এমন করে??

এমন অসুস্থতা কেন মানুষের মধ্যে?? এই অসভ্যতার শেষ কী করে হবে?

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আমার স্ত্রী ও আমি বের হয় হই। পরে আমার মেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে।

BBS cable ad

পুলিশ এর আরও খবর: