শিরোনাম

South east bank ad

অশান্ত বাগমারাকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি

 প্রকাশ: ০২ জুন ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনপ্রতিনিধি

এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দেশের স্বনামধন্য এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের তিনবারের নির্বাচিত এমপি, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সংসদ কার্যপরিচালনা কমিটির প্যানেল স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইতিপূর্বে সংসদীয় কমিটির বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাজশাহী একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধরাজাদের শাসনামল থেকে শুরু করে সুলতান, মোগল, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে শতসহস্র ঘটনা এবং গৌরবময় ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে এ জেলা। রাজশাহী ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে গুরুত্বপুর্ণ সংসদীয় আসন হচ্ছে বাগমারা উপজেলা রাজশাহী-৪। এ বাগমারা উপজেলাটি একসময় সন্ত্রাসী জনপথ হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। এখানে বাংলাভাই, সর্বহারা পাটি দিবালকে মানুষকে নিশৃংসভাবে হত্যা বা খুন করত। একসময় সর্বহারা ও জেএমবির অত্যাচারে এ অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারত না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল গফুরকে পরাজিত করে এবং ২০১৪ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রসাশনের সহযোগীতায় এ নৃশংস হত্যাকান্ড বন্ধ করে অশান্ত সেই বাগমারাকে আজ শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন। কৃষি, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিগত দশ বছরে নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে তিনি বাগমারাকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তের কাজ করে চলেছেন। নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির জনকের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য রাজশাহী বাগমারার ভবানীগঞ্জে ব্যক্তিগত খরচে গড়েছেন বহুতলবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু জাদুঘর কমপ্লেক্স। সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে আড়াইশর অধিক বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধের ছবি এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক বইয়ের পাঠাগার। বেসরকারি পর্যায়ে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। তিনি প্রথম রাজশাহীতে গার্মেন্টস কারখানা চালু করেছেন। তার মালিকানাধীন এনা গ্রুপে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এমপি এনামুল হকের উদ্যোগে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। করোনা সংকট মোকাবেলায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের কারণে যাদের বাড়িতে খাদ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে কন্ট্রোল রুমের সদস্যরা। উপজেলা জুড়ে খাদ্য সংকটে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেয়া হচ্ছে চাল ও সাবান। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সের কন্ট্রোল রুম থেকে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। করোনা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান এমপি এনামুল হক। সেই সাথে সরকারের সকল নির্দেশনা সঠিকভাবে পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি দিনে ও রাতের আঁধারে ব্যক্তি উদ্যোগে সামর্থ্যানুযায়ী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে কষ্টে থাকা মানুষদের সহযযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। অসহায়দের তিনি চাল, ডাল, আলু, সাবান,মাস্ক, নগদ টাকাসহ নানা ধরণের শাক-শবজি বিতরণ করে চলেছেন। করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগী যেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরন না করেন সে জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের মাঝে এক লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। করোনা রোগী শনাক্ত হলেও যেন চিকিৎসা পায় সে লক্ষ্যে আগেই সকল প্রকার উপকরণাদী যেমন গাউন. গ্লাস, মাস্ক, ক্যাপ, হ্যান্ড গ্লোবস, বুট এবং বুট কভার ইত্যাদি ক্রয় করতে এই অর্থ প্রদান করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের দিক দিয়ে বাগমারা উপজেলা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে সাধারন জনগণের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তাহেরপুর পৌর সভার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, বাগমারা উপজেলার প্রশাসনিক ভবন, সিকদারিতে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কাজ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা তাই এ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এনামুল হক বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নয়নের জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন নতুন রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট। তিনি স্বাস্থ্যের প্রতি ছিলেন সচেতন তাই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাগমারা উপজেলার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বাগমারা উপজেলায় আটানব্বই হাজার সাতাইশটি পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনাসহ প্রায় তিন লাখ লোককে বিদ্যুৎ সরবরাহে সুযোগ প্রদান করেছেন। এলাকাবাসীর বিদ্যুতের চাহিদা পুরণের লক্ষে ভবানীগঞ্চ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৫ এমবিএ থেকে ৩০ এমবিএ করা হয়েছে। নতুন করে হাতভাংগা পাড়ায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশকে সবুজ বনায়নে রুপান্তর এবং পুষ্টির অভাব পূরণের লক্ষে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। ওয়াদা পূরণে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর তাই তিনি কোটি টাকা মূল্যের জমি দান করে তা প্রমান করেছেন। নগরের সিটি বাইপাসের তালপুকুর এলাকায় সড়কের পাশেই নিজস্ব ঠিকানা হয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ। তার নেতৃত্বে ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বাগমারার ৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন উদ্বোধন করেছেন। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হক মনে করেন , কৃষির উপর বাংলাদেশের অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভরশীল। কৃষকের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন তাই তিনি সবসময় কৃষকের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের বাগমারা উপজেলার সাঁকোয়া শিকদারী গ্রামে এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা ইমারতুল্লাহ ও মা সালেহা বেগম।
BBS cable ad

জনপ্রতিনিধি এর আরও খবর: