শিরোনাম

South east bank ad

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগের কথা শুনলে মানুষ তাজ্জব হয়ে যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসা ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে আমরা আগেও কাজ করেছি। জো বাইডেন খুব পরিপক্ব রাজনীতিবিদ। এটা পৃথিবীর জন্য আশীর্বাদ। নতুন সরকারে সঙ্গে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা জলবায়ু নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করবো। প্রবাসীদেরও সুবিধা হবে।

আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসবকথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসময় ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগের কথা শুনলে মানুষ তাজ্জব হয়ে যায়। আমাদের সৌভাগ্য, আমরা যাকে নেতা হিসেবে পেয়েছি, তার মতো ত্যাগী নির্বাচিত নেতা বিশ্বে আর দ্বিতীয়জন নেই। ভোটের অধিকার আদায়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার ত্যাগের কারণে মানুষ সম্মান করে। আমরা ভাগ্যবান, তার মতো নেতা পেয়েছি।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কতজন প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সময়ে ১ লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী দেশে এসেছেন। অধিকাংশ এসেছেন সৌদি থেকে। কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর সৌদি চাপ দিল লোক নিয়ে যাও। সৌদি প্রথমে পাঠালো, যারা জেলে ছিল। যারা ক্রিমিনাল এদেরও পাঠালো। তবে সংখ্যা খুব কম।

‘প্রবাসীদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭শ কোটি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে। যাতে প্রবাসীরা দেশে ব্যবসা করে। এছাড়া আমরা দেশ থেকে ৭০ কোটি টাকা নগদ দিয়েছি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের। ’

বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কানাডায় খবর নিয়েছি, প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেলো রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও কিছু ব্যবসায়ীও আছে। কিন্তু বিদেশে যদি কেউ বৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রচুর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। কিন্তু সেই তুলনায় বাংলাদেশে সেটা অনেক কম। ধর্ষণও আমাদের দেশে প্রতি ১০ লাখে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। কিন্তু ওপেন সেক্সের দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকায় সেটা আরো বেশি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ভারত। তাদের সঙ্গে একটা সলিড রিলেশন। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নতি হলে কিছু শত্রুও বাড়বে। সেজন্য আমরা কাজও করছি।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: