শেখ হাসিনার সরকার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সমাজের সব স্তরের মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তাই সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মাঠ প্রশাসনে কর্মরতদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ভার্চুয়াল কনফারেন্স’ এর মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারি কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, দেশের মানুষের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে হলে সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে। সরকারের সব ধরনের সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী নব উদ্বোধনকৃত ‘অনলাইন হেলথ সার্ভিস’ সম্পর্কে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অবদান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ'। দ্রুত ও কার্যকরী সেবা প্রদানে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে হবে। সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে 'অনলাইন হেলথ সার্ভিস' গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল। তাই এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হলে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় 'জনমুখী জনপ্রশাসন' গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে খুলনা রোড মোড়ে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” অনলাইন বইমেলা, মুজিববর্ষে ১৪০০ আইটি এক্সপার্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ক্যাম্প, অনলাইন হেলথ সার্ভিস, সাতক্ষীরা এবং সাতক্ষীরা জেলার জনসংখ্যার পেশাভিত্তিক ডাটাবেজের উদ্বোধন করা হয়।