বাংলাদেশ সর্বদা পরিবেশবান্ধব উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সর্বদা পরিবেশবান্ধব উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। নাবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্লান অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৭ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে আসবে। নেট মিটারিং গাইডলাইন সোলার রুফটপ ব্যবহার করতে গ্রাহকদের উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম ৫৮ লক্ষ। অফ-গ্রীড এলাকা আলোকিত করতে সোলার হোম সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) অনলাইনে যুক্তরাজ্যের প্যাসিফিক ও পরিবেশ মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ (Lord Zac Goldsmith) –এর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন। এসময় তারা পারষ্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি ব্যবহারের প্রযুক্তি ও কৌশল, জ্বালানি প্রযুক্তি, পদ্ধতি , সেবা ও নীতি নিয়ে গবেষণা এবং জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাব। এ সময় তিনি যুক্তরাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিসমূহকে ক্লীন এনার্জী বিস্তারে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্যের প্যাসিফিক ও পরিবেশ মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ বলেছেন, ক্লীন এনার্জী বিস্তারে একসাথে কাজ করা যেতে পারে। অফসুর উইন্ডসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা খোঁজে বের করতে কর্মকর্তারা আলোচনা অব্যাহত রাখবে। এখাতে অর্থায়নেও আমরা আগ্রহী। ভবিষ্যৎ জ্বালানি ব্যবস্থা নিয়ে বিচক্ষণতার সাথে এগুনো উচিৎ।
ভার্চুয়াল এই দ্বি-পাক্ষিক আলোচনাসভায় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিক্সন (Robert Chatterton Dickson) ও ডিএফআইডি বাংলাদেশের প্রধান যুডিথ হারবার্টসন (Judith Herbertson) সংযুক্ত ছিলেন।