প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই জলমহাল ইজারা পাচ্ছেন: ভূমিমন্ত্রী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, শুধুমাত্র নিবন্ধিত ও প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই সমবায় সমিতির মাধ্যমে জলমহাল ইজারা পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৭০তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সায়রাত মহাল শাখা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাভুক্ত হিলিপ প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিরা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, অনলাইনে জলমহাল সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণের পর মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ও ভূমি তথ্য ব্যাংক থেকে উপাত্ত সমন্বয় করে স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার সঙ্গে ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে অধিগ্রহণকৃত সব জমি ও সায়রাত মহাল সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে আপলোড করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সরকারি ও খাস জমি, ভূসম্পদের প্রায় ৮২ শতাংশ উপাত্ত ভূমি তথ্য ব্যাংকে আপলোড করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জলমহালসহ বালুমহাল, খাসজমি, অর্পিত সম্পত্তি, হাটবাজার, চা-বাগান, চিংড়িমহাল এবং অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সব তথ্য ভূমি তথ্য ব্যাংকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এতে বন্দোবস্ত প্রদানকৃত জমি, সায়রাত মহালের সব তথ্য, সরকারি ভূসম্পত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া জমি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণেও ভূমি তথ্য ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পাবনা, কিশোরগঞ্জ ও খুলনা জেলার মোট ১৭টি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ডিসির প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন হিলিপ প্রকল্পে হস্তান্তরিত ১৩৯টি জলমহাল হস্তান্তরের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হিলিপ প্রকল্পে হস্তান্তর ১৩৯টি জলমহালের মধ্যে ১৩২টি জলমহাল হস্তান্তরের সময়সীমা আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করার অনুমোদন দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ‘হাওর অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’ (হিলিপ) হাওর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসে ২০১২ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে হিলিপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।