বিএনপির নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর কোনো নজির স্থাপন করেনি শেখ হাসিনা সরকার : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতাকর্মীদের নাকি গত একযুগ ধরে ঈদ নেই এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি ভুলে গেছেন ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর যে নির্মম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিলেন? বিএনপির আমলে মা, বাবা মারা গেলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গ্রামের বাড়ি যেতে পারেনি, দাফন- কাফনের শেষ সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদের নামাজ পড়া অবস্থায়ও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
কতটা নিষ্ঠুর ও অমানবিক হলে তারা এমনটা করতে পেরেছে তা বিএনপির নেতাদের কাছে জানতে চান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এলাকায় বাড়ি-ঘরে যেতে পারেনি। সেই ইতিহাস বেশিদিন আগের নয়।
করোনা সংক্রমণে সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোতের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১৫ মে) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ আশঙ্কার কথা বলেন।
‘
১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ১৬ ও ১৭ মে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটি তথ্য ও সংবাদচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান করবে।
১৬ মে বেলা ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ মে বেলা ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা, ১৭ মে বিকেল ৩টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান ছাড়াও সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা এবং প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া, প্রার্থনা করা হবে।