শিরোনাম

South east bank ad

একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার

 প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা ৩১ মার্ ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে একাত্তরের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি সৈনিকের কর্তব্য হওয়া উচিৎ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯টি বছর পরাজিত শক্তির দোসররা এদেশটাকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছে , পরাজিত শত্রুর গাড়ীতে বাংলাদেশের পতাকা উড়েছে। জাতি হিসেবে এটা লজ্জার।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা, রক্তদান কর্মসূচি ও মুজিববর্ষ স্মরীণকা হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখার সভাপতি রওনক আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, টেলিটক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাহাব উদ্দিন, আইইবি‘র সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল হুদা, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: নুরুজ্জামান ও প্রকৌশলী মঞ্জুর মোর্শেদ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু বক্তৃতা করেন।

একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর সেনানী জনাব মোস্তাফা জব্বার একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে যুদ্ধ করে দেশ স্বা্ধীন করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর এবং পরবর্তী ৮ বছরসহ মোট ২৯ বছর দেশকে পাকিস্তান বানানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিলো। পঞ্চাশ বছরের মধ্যে বাকী ২১ বছর বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় হ্যানরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বৈশ্বিক মহামারিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস ও কল কারখানা চালুসহ স্বাভাবিক জীবনধার সচল রেখেছে। অনেক উন্নত দেশসমূহের জিডিপি প্রবৃদ্ধি যেখানে ঋণাত্মক সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ। এটা অভাবনীয় সাফল্য। করোনাকালেও প্রমাণিত হলো আমরা বীরের জাতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বের কারণে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে।

কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সামনের দিনে বাংলাদেশ অনেক বেশী অগ্রগতি অর্জন করবে কারণ আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক মেধাবী ও সৃজনশীল। মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক কিংবা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মহাসড়ক হচ্ছে ডিজিটাল সংযোগ। ডিজিটাল মহাসড়ক বিনির্মাণে টেলিটক প্রকৌশলীসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা অসাধারণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ স্থাপন, আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন ও টিএন্ডটি বোর্ড গঠন এবং প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় করণ করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।তিনি বলেন, সামনের দিন গুলোতে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা স্বাধীনতার ৫০ বছরের বাংলাদেশের অর্জনের নানা দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। তারা বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে প্রকৌশলী সমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: