সাবরীনা রহমান বাঁধন এর কবিতা “অধিকার”

“অধিকার”
সাবরীনা রহমান বাঁধন
সে কি আর আমি জানি না বলো-
যে তোমার কিছুই আমার না
আমি কবে বলেছি বলো তো যে
আমার হও?
আমি কবে বলেছি
আমার সাথে ঘর বাঁধো?
কবে আবদার করেছি
চলো পালিয়ে যাই দুচোখ যেদিক যায়?
তোমার সাহস পরীক্ষা করার ইচ্ছে
করে নি কোনোদিন আমার।
কী হত তোমার পুরোটা আমার হলে?
ফেলে রাখতাম এখানে ওখানে অনাদরে।
এই যে এখন নিত্য আনাগোনা তোমার
এই ভেতর জুড়ে
তখন চাল চুলো বাজার সদাই এর তলায়
হারিয়ে থাকতে কোথাও
আমিও ছা পোষা চাকরির জাতাকলে পিষে
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম বিছানায় যেতেই
অথচ এখন ক্লান্ত হতেই
তোমায় ভীষণ মনে পড়ে
অস্পর্শে কপাল ছুঁয়ে ঘুম এনে দাও পরম মায়ায়
আমার খোঁজ না পেলে এই যে তোমার অভিমানের বন্যা
পেতাম কই বলো
শরীর ছুঁতাম অনায়াসে
কিন্তু মনের খোরাক পেতে কই?
কী হত বলো বাঁধলে ঘর?
কত ঘরই তো দেখি ভালোবাসাহীন প্রতিটা দিন।
একটু খানি দূরে সরার আভাস পেতেই
তোমার এই যে অস্থিরতা
আমার কিন্তু খুবই প্রিয়
ভালোবাসার কমতি হবে কেমন করে?
তোমার আমার সাধ্য কি তা?
পালিয়ে কোথায় যেতাম বলো
পাগলামি সব ছুটে যেত দু চারদিনেই।
পেলে তোমায় হারাতাম তার চেয়েও বেশি
পাইনি বলেই অষ্ট প্রহর ভালোবাসি।
তারচেয়ে বরং কাগজে কলমে তোমাকে লিখে পড়ে নিক অন্য কেও,
ঘর তুমি অন্যেরই করো।
আমার জন্য পালিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে হবে না তোমার।
এই যে আমি কেও না তোমার
তারপরও তুমি অন্য কোথাও বুঁদ হতে পারো না
নির্লিপ্ত জীবন কাটাও
তাতেই আমার পাওয়া হয় তোমায়
ভালোবাসা কি আর লিখে পড়ে নেওয়ার জিনিস!
অধিকার কি হাতে তুলে দিতে হয়!