কাতারে করোনার ব্যতিক্রমী লাল তালিকায় বাংলাদেশের নাম
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কাতারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশসহ নয়টি দেশকে করোনার ব্যতিক্রমী লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এর ফলে দেশটিতে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী যাত্রীদের অধিকতর কড়াকড়ির মুখোমুখি হতে হবে ।
কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দেশটির মিনিস্ট্রি অফ পাবলিক হেলথ তাদের ওয়েবসাইটে 'কোভিড-১৯-এক্সসেপশনাল রেড লিস্ট কান্ট্রিজ' তালিকায় বাংলাদেশের নাম রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকায় সিভিল এভিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ তালিকার কারণে বাংলাদেশ থেকে আসাযাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি করা হয় কোভিড সংক্রান্ত প্রটোকল ঠিক মতো অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য।
কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, এ তালিকায় বাংলাদেশেসহ মোট নয়টি দেশের নাম আছে। বাকী দেশগুলো হচ্ছে- মিসর, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, বোতসোয়ানা, লেসুথু, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
মূলত এসব দেশের যাত্রীদের ক্ষেত্রে নতুন ভ্রমণ-বিধি কার্যকর করবে কাতার, যা শনিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্বের নানা দেশের অবস্থা পর্যালোচনা করে সেসব দেশে কোভিড-১৯ ঝুঁকি কতটা তার ভিত্তিতে লাল ও সবুজ নামে দুটি তালিকা ছিলো কাতারের।
এখন তার বাইরে একটি 'ব্যতিক্রমী লাল তালিকা' করলো দেশটি।
বাংলাদেশসহ ব্যতিক্রমী লাল তালিকার দেশগুলো থেকে কাতারের বাসিন্দাদের ফেরার পর দু'দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে - টিকার পূর্ণ ডোজ নেয়া থাকলেও।
আবার কাতারে নামার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এবং পৌঁছানোর পর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।
আর টিকা না নেয়া যাত্রীরা কাতারে পৌঁছানোর পর সাত দিন হোম কোয়ারেন্টিন করতে হবে। দেশটিতে পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনের ষষ্ঠ দিনেও টেস্ট করাতে হবে।
সেই টেস্টে নেগেটিভ এলেই কেবল সপ্তম দিনে কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হবেন ওই যাত্রী।