আগামীকাল বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবস

আগামীকাল ৭ মে বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবস। সারা পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার বিষয়টি মাথায় রেখেই দিবসটির প্রচলন। মাইক্রোসফট, তোশিবা এবং ডেলের মতো ১৭০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ইনটেলের হাত ধরে বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবসের জন্ম। এ দিবসটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি বার্তাই পৌঁছে দিতে চায়, তা হলো- পাসওয়ার্ডগুলো বদলে ফেলুন। ম্যাকাফির অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট সিসিলিয়ানো বলেছেন, ‘ইনটেলের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের একটি কর্মসূচি থেকে দিবসটির ধারণা আসে।’ তিনি বলেন, অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এতবেশি কিছু করার কথা বলা হয় যে, শেষ পর্যন্ত তারা আর কিছুই করেন না। তাই ব্যবহারকারীদের হাতে সাবধানতার একটা লম্বা তালিকা তুলে দেয়ার বদলে আমরা ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীদের সার্বিক নিরাপত্তায় বৃদ্ধিতে এমন কিছু একটা খুঁজছিলাম যা তারা পাঁচ মিনিটের মধ্যে করে ফেলতে পারবে। আর তা হলো- পাসওয়ার্ডগুলো পাল্টে ফেলুন। বিশ্ব পাসওয়ার্ডের দিবসের বদৌলতে গত বছর দশ লাখেরও বেশি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়। সিসিলিয়ানো আশা করছেন, চলতি বছরে এই সংখ্যা আরো বেশি হবে, বিশেষ করে হার্টব্লিড নিয়ে ইন্টারনেট বিশ্বে রীতিমতো তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যাওয়ার পর। এই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের মতে, হার্টব্লিডের আবিষ্কারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ঝুঁকি বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলছেন, ইন্টারনেটে তথ্য চুরির বিষয়টি ধরা পড়তে অনেক ক্ষেত্রে বছরও লেগে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অজান্তেই যেসব তথ্য হ্যাকাররা ইন্টারনেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন তা থেকে বাঁচাতে পারে মাঝে মধ্যে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের অভ্যাস। ওয়ার্ল্ড পাসওয়ার্ড ডে ওয়েবসাইট সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডগুলো এবং হ্যাক হয়েছে এমন সব পাসওয়ার্ড নিয়ে একটি গেম তৈরি করেছে। এই গেমটিতে যদি উপর থেকে এমন কোনো শব্দ নেমে আসে যেটি আপনি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন- তবে এই মুহূর্তে সেটি বদলে ফেলুন। পাসওয়ার্ড হিসেবে যেগুলো খুব বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে রয়েছে- ক্রমিক সংখ্যা, নাম, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি প্রায়ই ব্যবহার করেন এমন কোনো শব্দ, বাক্যাংশ বা প্রবাদ এবং ভিন্ন কোনোভাবে লেখা নিজের নাম। পাসওয়ার্ড হিসেবে যেগুলোকে শক্ত বলে মনে করা হয় সেগুলো মনে রাখাটা একটু কঠিনই। আর তাই এ মনে রাখার দায়িত্বটা আপনি নিশ্চিন্তে ছেড়ে দিতে পারেন লাস্টপাস, ড্যাশলেন বা ম্যাকাফি লাইফসেফের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। যেগুলো আপনার পাসওয়ার্ড মনে রাখবে এবং সেগুলোর নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা নেই। নিরাপদ কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার, অ্যান্টি-ফিশিং প্রোগ্রামস্ও ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি ফায়ারওয়ালের সঠিক ব্যবহার এক্ষেত্রে বেশ ফলপ্রসূ হবে। কিন্তু আপনি যদি কিছুই না করেন তবে এই মুহূর্তে নিজের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।