কেনো অভিশাপ নেবেন :মিজান মালিক
করোনা কাল। আর রমজান। দুটি পরীক্ষা এক সাথে চলছে।ঠিক এই সময়ে সোবহে সাদিকের আগে বলছি, প্রভাব দেখানো, সমাজের সমীহ পাওয়া, সরকারের আনুকূল্য লাভের প্রত্যাশাসহ নানা কারনে যেসব সুবিধাভোগী ব্যক্তি পত্রিকা ও টেলিভিশন বাক্স খুলেছেন,
নিজেদের আখের গোছানোর পর এখন কর্মী ছাঁটাই, মাসের পর মাস বেতন না দেয়া এমনকি বেতন ভাতা না দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন,
তারা নিজেরা তো বেশ আছেন। আপনারা কেনো বঞ্চিত সংবাদ কর্মীদের অভিশাপ নিচ্ছেন। আপনারা তো ফকির হয়ে যাননি। ওরা তো আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে আরেকটা ভালো হাউজ ছেড়ে গিয়েছিল।
এই দুঃসময়ে প্রতিদিন আমাদের সহকর্মীদের জীবনে বেঁচে থাকার সংগ্রামের কষ্টগাথা শুনে মনটা বিষিয়ে ওঠে।
একটি এতিম খানাও কেনো করেছিল পত্রিকা, উত্তরটি জানি না। সাংবাদিকতার কি বুঝেন ওই মালিক জানিনা। কিন্তু পত্রিকা দিয়ে বসলেন। এখন আবার বন্ধ। কর্মীদের রাস্তায় নামিয়ে আপনি কেমন আছেন জনাব?
মানব কন্ঠের কর্মীদের বেতন বন্ধ বছরও নাকি! কি কারনে লোকটি পত্রিকা বের করলেন।! জেদ ছিল?
আপনি পত্রিকা না করলে তো কেউ ভালো হাউজ ছেড়ে একটু বেশি বেতনের আশায় আপনার ওখানে যেতো না।
কি পাতা নামে যেনো একটা পত্রিকা আছে। দেড় লাখ সার্কুলেশনের হিসাব দেখিয়ে নাকি অষ্ঠম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলে সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন নিচ্ছে। তারপরও কোন কোন পেশাদার সাংবাদিক বা কতজন সেখানে কাজ করেন জানিনা।বেতন কোন বোর্ড অনুযায়ী দেন তাও জানিনা।
এভাবে এই আলো ওই প্রতিদিন ওই ভোর ওই কন্ঠ- প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার নামের এক অংশ নিয়ে আরেকটা শব্দ বসিয়ে একটা পত্রিকা বের করে বসে।
টেলিভিশনও এভাবে বের হচ্ছে। এসএ টিভির ভেতরের অবস্থা খারাপ। কর্মীদের অধিকাংশ রাস্তায় । বাংলা টিভির সংবাদ কর্মিরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না।
আর কতো বলবো। তালিকা অনেক লম্বা.............
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিগত কমিটি ও বর্তমান কমিটি সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছে। আমি তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ওই মালিকদের বলবো, আপনারা মানবিক হোন।কেনো অভিশাপ নেবেন। মিডিয়াকে পুঁজি করে কোনো সুবিধা ভোগ করছেন না?
(মিজান মালিক এর ফেসবুক পেজ থেকে)