ইনোভেশনের পিছনের আইডিয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ --ড. গওহর রিজভি
সাতক্ষীরায়, খুলনা বিভাগের ইনোভেশন সার্কেলে আমার আসার আগ্রহ ছিলো মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের ইনোভেশন হচ্ছে তা দেখা ও জানার জন্য। আমি এখন সত্যিই মন খুলে বলতে পারি, আমি যা আশা করেছিলাম, তার চাইতে বেশিই ইনোভেশন এখানে দেখে যাচ্ছি। এর জন্য আমি আমাদের উদ্ভাবক, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং যারা এর সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের সকলকেই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইনোভেশন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা একার জন্য কঠিন, কিন্তু সবার জন্য সহজ। খুলনা বিভাগের ইনোভেশনে সবার সম্পৃক্ততা দেখলাম। এটা উৎসাহব্যঞ্জক।
ইনোভেশন শব্দটাই একটি নতুন শব্দ। কয়েক বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গভর্ণ্যান্স ইনোভেশন ইউনিট ও এটুআই প্রকল্প শুরু করার মাধ্যমে এই শব্দটি প্রচলিত করেন। যখন প্রথম শব্দটি প্রচলিত হয় তখন কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে অনুৎসাহিত ছিল। তাদের মতে গভর্ণমেন্ট এন্ড ইনোভেশন – এই দুইটি শব্দ একসাথে যায় না। দিস ওয়াজ আ কর্ণার পার্সেপশান। শুধুমাত্র বাংলাদেশে না, আমি অনেক দেশে ইনোভেশনের কথা বলতে গিয়েছি, আলাপ করতে গিয়েছি, সব জায়গায় এই কথাই বলে। কিন্তু এখন আমরা প্রমাণ করেছি, গভর্ণমেন্ট খুবই ইনোভেটিভ এবং আরো ইনোভেটিভ হবার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় যা আমি আগেও বিভিন্ন জায়গায় বলেছি, তা হল গভর্ণমেন্ট নিজের কথা বলতে জানে না, নিজের গল্প বলতে জানে না। এই যে আপনারা এত ভাল ভাল কাজ করছেন, এত কিছু ইনোভেট করছেন, এর জন্য আপনারা আলাদাভাবে কিছু পাচ্ছেন না। এই ইনোভেশন না করলেও কিছু হত না, এর জন্য আপনার চাকরি যেত না, প্রমোশনেও সমস্যা হতো না। উইদাউট এক্সপেক্টেশান অব এনি রিওয়ার্ড আপনারা নিজ উদ্যোগে ইনোভেট করছেন। এইটাই হচ্ছে গভর্ণমেন্ট পাবলিক সার্ভিসের স্পেশাল ক্যারেক্টারিসটিক্স। আমরা রিওয়ার্ডের জন্য করি না, আমরা করি বিকজ আমরা মনে করি জনগণের সেবা করার সুযোগটাই হল সবচেয়ে বেশি, এর চাইতে বেশি কিছু আর পাওয়া যায় না। আমি আজকে অনেক ইনোভেশনের কথা শুনেছি, কিছু নোটও নিয়েছি; আশা করি এগুলো নিয়ে আরও চিন্তা করতে পারবো। দু’একটা বেসিক কথা বলি, এগুলো পরে আরো পরিস্কার ও স্পষ্টভাবে আলাপ করা যেতে পারে।
ইনোভেশন নিয়ে আমরা কেন এতো আগ্রহী? হোয়াই ইনোভেশন? একটি সরকারের সাকসেস বা ফেইলিউর নির্ভর করে নাগরিকের সন্তুষ্টির উপরে। নাগরিক সন্তুষ্টি হওয়া মানে – সরকার সাকসেসফুল। আবার নাগরিক যদি বলে আমরা তো কোন সুবিধা পাচ্ছি না, তাহলে তার অর্থ সরকার ফেইলিউর। আর এখানে যে আপনারা আছেন, দ্যাট ইজ দ্যা ফার্স্ট পয়েন্ট যেখানে নাগরিক ও সরকারের ইন্টারফেস হয়। এবং এখানে যদি নাগরিকের অভিজ্ঞতা ভাল হয়, তবে তারা বলবে এই সরকার ভাল, আর যদি খারাপ অভিজ্ঞতা হয়, তবে তারা জানবে এ সরকার ভাল নয়।
এর পরের প্রশ্ন হলো – কেন ইনোভেশন ইম্পর্ট্যান্ট? যারা আমরা পাবলিক সার্ভিসে আছি, আমরা সকলেই চাই আমাদের নাগরিকদের ভালভাবে সেবা দিতে। আমরা কেউ এটা মনে করি না যে, যখন আমার হাতে পাওয়ার আসবে তখন আমরা সকলের কাজ নষ্ট করে দিব, কেউ এটা চায় না। আমরা সকলেই আসি সেবা করতে, কিন্তু এসে দেখি যে আমাদের হাত বাঁধা। কেন? কারণ, আমাদের সরকারি আইন, রুলস, প্রসিডিউরস, রুলস অব বিজনেস – সেখানে অনেক কিছু করতে চাইলেও করতে পারা যায় না। সেখানেই ইনোভেশনের দরকার। যখন একটা লোক একটা দরখাস্ত নিয়ে আপনার কাছে আসে, আর আপনি যদি বলেন, এটা আমার আইন অনুযায়ী দেওয়া যায় না। এখানে ইউ আর কারেক্ট। কিন্তু সিটিজেন তো এটা নিয়ে খুশি হল না, তার প্রয়োজনও মিটলো না। এখানেই ইনোভেশন দরকার – কিভাবে আইনের মধ্যে থেকেই তার কাজটা করে দেওয়া যায়, কিভাবে তার প্রবলেমটা সলভ করে দেওয়া যায়। এমনকি, প্রয়োজনে রুলসটা একটু ব্রেক করতে হয়, একটু ঘুরে যেতে হয়। কিন্তু অ্যান ইনোভেটর নিডস টু বি এ প্রবলেম সলভার। কারণ, ইনোভেশন ইজ অ্যাবাউট প্রবলেম সলভিং। আর যখন আমরা প্রবলেম সলভ করা আরম্ভ করি, তখনই সেবার মানোন্নয়ন হয়, সিটিজেন খুশি হয়, সরকার ভাল হয় ও সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন ঘটে।
আজকে এখানে যা শুনলাম, আমি চিন্তা করছিলাম এত ইনোভেশন কি করে হয়। এখন আমি যা বলব, আমি কিন্তু কমিশনারকে খুশি করার জন্য বলছি না, আমি একেবারে আমার এম্পেরিকাল রিসার্চের উপর এ কথাটা বলছি। আমি যখন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াতাম, তখন আমরা রিসার্চ করেছিলাম, কেন এক জায়গায় ইনোভেশন হয় আর এক জায়গায় হয় না। ১২-১৩ শ কেস স্টাডি করে আমরা একটা পরিস্কার উত্তর পেয়েছিলাম। উত্তরটি হল, এনেএবেলিং এনভায়রেনমেন্ট। একজন বস, একজন কমিশনার, একজন সেক্রেটারি বা একজন ডিরেক্টর জেনারেল এমন একটি এনভায়রনমেন্ট ক্রিয়েট করেন যেখানে ইনোভেশন হতে পারে। আর ইনোভেশন হলেই ভুল হবে, রুলস ব্রেক হবে, তখন সুপেরিয়ররা সেই ভুল হওয়াটাকে এনকারেজ করেন। আমরা যারা পাবলিক সার্ভিসে আছি, সিভিল সার্ভিসে তারা রুল ব্রেক করতে ভয় পাই, বাট ইট টেকস আ হাইয়ার অফিসিয়াল টু সে ডু, আই অ্যাম আলসো উইথ ইউ, আই উইল অলসো টেক দ্যা রিস্ক। তিনি আরও একটা কথা বলবেন, তিনি বলবেন – মিসটেক কর, কিন্তু লার্ণ ফ্রম ইওর মিসটেক। মিসটেক ইজ ভ্যালুয়েবল কারণ সেখান থেকে আমরা একটা শিক্ষা পাই। যদি শিক্ষা না নেই, তাহলে তো একই ভুল বারবার হতে থাকবে। তাই বি কেয়ারফুল, একটা এনভায়রনমেন্ট হুইচ ইজ এনকারেজিং ইওর ইনোভেশন্স এন্ড উই লার্ণ ফ্রম অল আওয়ার মিসটেকস। কিন্তু আমরা আমাদের ভুল থেকে তখনই শিখব, যখন আমরা এই ধরণের মিটিং এ বসে একেবারে মনের কথা বলতে পারব, কিছু লুকাবো না। সকলেই নিজের সাকসেসের কথা বলতে পারে, নিজের ভুল ত্রুটির কথা বলা খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের ভুল ত্রুটি নিয়ে কথা না বলি, তাহলে ওই মিসটেক থেকে কোন শিক্ষা পাব না।
আজকে দুই ধরণের বিষয় এখানে দেখলাম। একটাকে আমি বলব ইনোভেশন, আর একটা হল প্রসেস এনহ্যান্সমেন্ট, প্রসেস ইম্প্রুভমেন্ট বা এফিশিয়েন্সি অ্যাড ইনটু এফিশিয়েন্সি। এই দুইটাই ইম্পর্ট্যান্ট। আমরা যদি যে কোন প্রসেসকেই একটু এফিশিয়েন্ট করে দেই, সেটাই এক্সাম্পল। কেউ যদি একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে আসে, এখন আমি যদি বলি দুই সপ্তাহ লাগবে, কেউ পাসপোর্ট নিতে আসে, যদি বলি দুই সপ্তাহ লাগবে। যদি এটাকে আমরা এক সপ্তাহ বা আরো কম সময়ে করে দিতে পারি, তাহলেই বলা যাবে যে সার্ভিস এর ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে। দ্যাট ইজ অলসো প্রবলেম সল্ভিং এন্ড ইউজফুল। বাট দিস ইজ নট নেসেসারিলি অ্যান ইনোভেশন। আলটিমেটলি দেখতে হবে নাগরিক সেবা পাচ্ছে কি না।
দ্যা বেসিক থিং বিহাইন্ড এভরি ইনিশিয়েটিভ ইজ টু আস্ক কোয়েশ্চেন্স টু সেলফ। আমি যে কাজটি করছি, তা কেন করছি, আসলেই এর কোন নেসেসিটি আছে কি না এসব নিজেকে জিজ্ঞাসা করে উত্তর পেতে হবে। আমি একজন লোককে বললাম, পাঁচ কপি এপ্লিকেশন নিয়ে আসতে হবে, চার কপি আনলে ফিরিয়ে দেব, কারণ আইন হচ্ছে পাঁচ কপি আনার। যখন পাঁচ কপির এই আইন তৈরি হয়েছিল তখন ফটোকপি ছিল না, জেরক্স ছিল না; কিন্তু এখন এসব সুবিধা আছে। তাহলে এখন তো পাঁচ কপি এপ্লিকেশনের দরকার নেই, তাহলে আমরা তা কেন চাইব? তাই সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, আসলেই যা করছি তা দরকার কি না। যখন আমরা কোন কাজ করি, তখন তা কতগুলো ধাপে করি, একবার আমার কাছে, তারপর আর একজনের কাছে, এভাবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, সব ধাপ কি প্রয়োজনীয় কি না? এনিথিং দ্যাট ইজ নট নেসেসারি, আমরা সেটাকে বাদ দিয়ে দিব। দ্যাট উইল লিড প্রসেস ইম্প্রুভমেন্ট, সেভিংস অব টাইম, দ্যাট উইল লিড টু দ্যা স্যাটিসফেকশন অব আওয়ার সিটিজেন।
ইনোভেশন ইজ লিটল বিট মোর কমপ্লিকেটেড। আজ এখানে আমরা অনেকগুলো ইনোভেশন দেখেছি এবং এর মাঝে বেশ কয়েকটি খুবই ভাল ইনোভেশন, এন্ড দে শুড বি ইমিডিয়েটলি স্কেলড আপ। ইনোভেশনের চারটি বৈশিষ্ট্য আছে আমরা জানি। প্রথমটি হল, যে প্রবলেমটা সলভ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা একটি সিগনিফিকেন্ট প্রবলেম, যেটার সমাধান অনেক লোকের জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। ছোট প্রবলেম সলভ করা হচ্ছে প্রসেস ইম্প্রুভমেন্ট। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যা করা হচ্ছে, দ্যাট ক্যান বি রেপ্লিকেটেড। এর মানে এই নয়, যে কাজটাকে কপি করতে হবে। যেমন, সাতক্ষীরাতে যে কাজ হচ্ছে তা যশোরে করতে গেলে যশোরের কালচার, সিচুয়েশন, চাহিদা সবকিছু মনে রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে হবে। এটা করতে হবে এডাপটেশনের জন্য, বাট ইনোভেশন ইজ দ্যাট আইডিয়া। সুতরাং আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, ইনোভেশনের পিছনের আইডিয়াটা কী, আইডিয়াটা বুঝলে আমরা তা নানান জায়গায় নানাভাবে ব্যবহার করতে পারব। আজকে যেমন ডিসি সাতক্ষীরা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কথা বললেন, যাতে করে এক অফিসে গিয়ে সব সার্ভিস পাওয়া যায়। দিস ইজ আ বিগ ইনোভেশন। বাট হোয়াট ইজ দ্যা আইডিয়া অব ওয়ান স্টপ সার্ভিস? আইডিয়াটা বুঝলে তা বিভিন্ন জায়গায় ইমপ্লিমেন্ট করা যাবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস ইজ মেইনলি ইন্টিগ্রেটিং এন্ড মেকিং ইট সিমলেস।
কেন ইন্টিগ্রেট করতে হবে? কারণ, নাগরিক যখন সমস্যার কথা চিন্তা করে তখন খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা – এমন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করে ও সরকারের কাছে যথাযথ সেবা প্রত্যাশা করে। আমরা যারা সরকারে আছি, আমরা নিজেদের কাজ সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিপার্টমেন্ট বানিয়েছি। কিন্তু সিটিজেন নিডের কাথা ভাবলে আমাদের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মত কোন একটি আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে ও সার্ভিসকে স্মুদ করতে হবে। আলটিমেটলি, অল ইনোভেশন ইজ আ বেসিক টেস্ট। আলটিমেটলি, এই ইনোভেশন নাগরিকের জীবনযাত্রা উন্নত করার জন্য কাজে লাগবে। যে ইনোভেশনে নাগরিকের জীবনে কোন উন্নয়ন নিয়ে আসে না, সেই ইনোভেশন করে কোন লাভ নাই। আমি যদি এই বিল্ডিংটা বন্ধ করে দেই, আর খুব সুন্দর করে পরিস্কার করে রাখি, তাহলে বিল্ডিংটা পরিস্কার থাকবে ঠিকই, কিন্তু নাগরিকরা এখান থেকে আর কোন সেবা পাবে না। সো আলটিমেটলি, দ্য ইনোভেটরস হ্যাভ টু বি অ্যাবলড টু শো, হোয়াট উইল বি দ্যা আউটকাম।
ইউ নো, ইনসেন্টিভস, রিকগনিশন ইজ ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট। তাই স্টুডেন্ট অব দ্যা মান্থ, টিচার অব দ্যা মান্থ, সার্টিফিকেটস এগুলোর দরকার আছে। বাট, একটা সারপ্রাইজিং বিষয় হল, আমরা যারা পাবলিক সার্ভিসে আছি, আমাদের ইনোভেশন আর প্রাইভেট সেক্টরের ইনোভেশনে অনেক পার্থক্য আছে। প্রাইভেট সেক্টরের ইনোভেশন করার সাথে সাথে ইনসেনটিভ হিসেবে টাকা বা প্রমোশন পাওয়া যায়, কারণ সে কোম্পানীর প্রফিট এনেছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক সেক্টরের কাজই হল নাগরিকদের সেবা দেওয়া, উই ওয়ান্ট টু সার্ভ। আমি একেবারে এম্পেরিক্যাল রিসার্চের ভিত্তিতেই বলছি, রিকগনিশন ইজ গুড, বাট আমরা শুধুমাত্র রিওয়ার্ডের জন্যই কাজ করব না। কেউ যদি রিওয়ার্ড দিয়ে দেয় তো ভাল, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ার রিওয়ার্ড ইজ আওয়ার স্যাটিসফেকশন ইন সার্ভিং টু আওয়ার পিপল।
লেট মি থ্যাংস টু ইউ অল এগেইন। এখানে এসে অনেক কিছু শিখেছি, আর ফিরে যাচ্ছি অনেক বেশি এক্সাইটমেন্ট নিয়ে যে আমাদের বাংলাদেশকে আর কেউ থামাতে পারবে না। মানিক মাহমুদের সাথে কথা হয়েছে আমরা ফিরে গিয়ে এসবকিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। উই আর মুভিং, একটা বিরাট আন্দোলন বলেন বা মুভমেন্ট বলেন, তা জেগে উঠেছে ও ইনোভেশন হচ্ছে। আশা করি আমাদের সোনার বাংলা উইল বি আ রিয়াল সোনার বাংলা।