পাটশিল্পের উন্নয়নে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে

পাটশিল্পের উন্নয়নে সরকার জোরদার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।
সচিবালয়ে সোমবার নেপালের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি এ ছয়টি পণ্য যে কোনো পরিমাণ সংরক্ষণ ও পরিবহনে বাধ্যতামূলক পাটের বস্তার বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ওই ছয়টি পণ্য ২০ কেজি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ হলে পরিবহন ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। বর্তমান নির্দেশনা জারির ফলে এ ছয়টি পণ্য যে কোনো পরিমাণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ বা বস্তা ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য দেশে পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সুশীল কুমার লম্সাল জানান, বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। নেপাল আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। দু’দেশ নিয়মিত বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটাতে চায় নেপাল।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বিজেএমসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হুমায়ুন খালেদ, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিটিএমসি চেয়ারম্যান বায়জিত সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া নেপালের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের মধ্যে জুট এ্যাসোসিয়েশন নেপালের প্রেসিডেন্ট রাজকুমার গোলছা, মোড়াং চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রথম সহ-সভাপতি মুকেশ উপাধ্যায়, মোড়াং মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রমেশ রাঠি উপস্থিত ছিলেন।