রিটার্ন ফরম সহজ করার আহ্বান

রিটার্ন ফরম সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আয়কর মেলায় আগত করদাতারা।
করদাতাদের মতে, ব্যক্তির শ্রেণি ও পেশা অনুযায়ী আলাদা রিটার্ন ফরম থাকা উচিত। ফরমে করদাতার দেয়া তথ্যাদির ছকও পুনর্বিন্যাস করা উচিত। তাহলে করদাতারা নিজেরাই ফরম পূরণ করতে পারবেন।
বুধবার আয়কর মেলার প্রথম দিন করদাতাদের সঙ্গে কথা বললে এ মত জানান তারা।
রিটার্ন ফরম পূরণ করেই করদাতা তার বাৎসরিক আয়-ব্যয় ও সম্পদ বিবরণীর ঘোষণা কর অফিসে জমা দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, গৃহিণী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য একই রিটার্ন ফরম রয়েছে। এই ফরমেই করদাতার আয়-ব্যয় ও সম্পদ ঘোষণা দিতে হয়।
বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী মহল ও সরকারের নীতিনির্ধারকরাও রিটার্ন ফরম সহজ করার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকেও রিটার্ন ফরম সহজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
মেলায় কর দিতে আসা কর অঞ্চল-১ এর সার্কেল ২১ এর করদাতা নাট্যকার আশিষ মুখার্জী বলেন, রিটার্ন ফরম সহজ করা হলে কর্মকর্তাদের সাহায্য ছাড়া করদাতা নিজেই পূরণ করতে পারতেন। প্রয়োজনে শ্রেণিপেশার ভিত্তিতে আলাদা ফরম তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক ছাদের নিচে সব সেবা পাওয়ায় ঝামেলা ছাড়াই রিটার্ন জমা দিতে মেলায় এসেছেন। মেলার পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ঠিকাদার মশিউর রহমান কর অঞ্চল-১৩ এর করদাতা। মেলায় এসেছিলেন রিটার্ন জমা দিতে।
তিনি বলেন, মেলায় সব কর কর্মকর্তাই রিটার্ন ফরম পূরণে সহযোগিতা করে। এক ডেস্ক থেকে সহযোগিতা না পেলে অন্য ডেস্ক থেকে পাওয়া যায়। কেউ না কেউ সহযোগিতা করেই। অথচ কর সার্কেলে ফাইল একজনের হাতেই থাকে। তখন তার কথা মতোই চলতে হয়। তাই ঝামেলামুক্ত রিটার্ন জমা দিতে মেলায় এসেছেন।
কর আইনজীবী জহিরুল ইসলাম কর অঞ্চল-৫ এ অধিক্ষেত্রাধীন ১৫ করদাতার রিটার্ন ফরম জমা দিতে এসেছিলেন।
তিনি জানান, কর মেলায় এক ছাদের নিচে সব সেবা পাওয়া যায়। ঝামেলাও কম। তাই ক্লায়েন্টদের রিটার্ন ফরম জমা দিতে এসেছেন। সার্কেল অফিসে রিটার্ন জমা দিতে হলে ব্যাংকের চালান, ফটোকপি, কাগজপত্র জমা, অফিসারের অনুমোদনের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয়ে। কিন্তু মেলায় হাতের নাগালে সবকিছু পাওয়া যায়।