শিরোনাম

South east bank ad

সিপিএ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে একখণ্ড বাংলাদেশ

 প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

সিপিএ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে একখণ্ড বাংলাদেশ
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একখণ্ড বাংলাদেশ তুলে ধরা হবে আগত ছয় শতাধিক বিদেশি অতিথিদের মাঝে। সেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। বর্ণিল রঙে রাঙানো হচ্ছে জাতীয় সংসদ ও এর আশপাশ এলাকা। লাগানো হচ্ছে ব্যানার ফেস্টুন। ৫ নভেম্বর সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১ হাজার ৫০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মধ্যে রয়েছেন- দেশের বিখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তজার্তিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানরা। জানা গেছে, বৃটেনের রানী এলিজাবেথ এ উপলক্ষে বাণী পাঠাবেন। ওই বাণী পড়ে শোনাবেন সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পদাধিকারবলে সিপিএ’র চিফ প্যান্ট্রন রানী এলিজাবেথ ও ভাইস প্যান্ট্রন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন হলেও রাতে বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হবে। নৈশ ভোজটিও হবে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। এজন্য আলাদা প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। এ সম্মেলনের খবর সংগ্রহের জন্য প্রায় ৩০০ সাংবাদিকের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকেও সাংবাদিক আসবেন। সোমবার বিকেলে সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে এশিয়াটিক। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে উদ্বোধনী মঞ্চ তৈরি করা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখাশোনা করবে। সোমবার বিকেল থেকে সেখানে মহড়াও শুরু হয়েছে। রাণী এলিজাবেথের বাণী পড়ার পরই ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে একটি পরিবেশনা থাকবে। এরপর সিম্পনি অব ডেমোক্রেসি নামে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হবে। এ পরিবেশনার পর দেখানো হবে সিপিএ’র কর্মকাণ্ড ও গুরুত্ব। এরপর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধি বিষয়ক পরিবেশনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করবেন। জানা গেছে, পহেলা নভেম্বর থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় সিপিএ’র এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর উদ্বোধন হবে ৫ নভেম্বর। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন সেশন শুরু হবে। এর আগে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে ২ নভেম্বর থেকে কয়েকটি সেশনের বৈঠক হবে। সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫২ দেশ ও ১৮০টি সিপিএ ব্রাঞ্চের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য ও অন্যান্য প্রতিনিধিসহ প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের মতো এটিও সফল করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশের সংসদ ও সিপিএ। সোমবার সংসদের শপথ কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস স্কোয়াড্রন লিডার এম সাদরুল আহমেদ খান  বলেন, সিপিএ সম্মেলনে আগত অতিথিদের নিরাপত্তা দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে। আরও জানা গেছে, শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পরই বাংলাদেশে এ সম্মেলনের বিষয়টি সামনে আসে। গত বছরের ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সিপিএ'র ৬২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুলশানের হলি আর্টিজানে এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: