শিরোনাম

South east bank ad

রূপপুর প্রকল্প: জাহাজের জন্য পদ্মার গভীরতা ঠিক রাখা প্রয়োজন

 প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

রূপপুর প্রকল্প: জাহাজের জন্য পদ্মার গভীরতা ঠিক রাখা প্রয়োজন

রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পদ্মার সংশ্লিষ্ট অংশের নাব্যতা রক্ষার জন্য নদীর গভীরতা ঠিক রাখার জন্য কার্যক্রম আরো গতিশীল করা প্রয়োজন, যাতে মালবাহী জাহাজ অপেক্ষায় না থাকে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) চলমান প্রকল্পের পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

আইএমইডির পরিচালক এসএম নাজিম উদ্দিন এই সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করেন।
‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক চলমান প্রকল্পের পরিদর্শন প্রতিবেদন ইতোমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইএমইডি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

আইএমইডির মহাপরিচালক (সেক্টর -৭) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চলমান প্রকল্পের পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করেন। ইতোমধ্যে এই কপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

প্রতিবেদনে আইএমইডির সুপারিশগুলো হলো-
প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে জিওবি অংশের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব পক্ষের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আরো কৌশলী ও তৎপর হওয়া দরকার।

আবাসিক ভবন নির্মাণ অংশের অবশিষ্ট সব অসম্পন্ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও ভবন হস্তান্তর করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এটা একটা বড় প্রকল্প। প্রকল্প পরিচালক অফিস পর্যায়ে কিছুটা ডকুমেন্টেশন দুর্বলতা দেখা গেছে। যেমন, আর্থিক অগ্রগতি ও ভৌত/বাস্তব অগ্রগতির আলাদাভাবে ক্যালকুলেশন করা হচ্ছে না। আর্থিক অগ্রগতি ও ভৌত অগ্রগতি একই দেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আলাদাভাবে ভৌত অগ্রগতির বাস্তবসম্মত অগ্রগতি দেখানো প্রয়োজন। এছাড়া ডিপিপির প্যাকেজগুলোর অগ্রগতি আলাদাভাবে ডকুমেন্টেশন ও প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজমেন্টের আরো উন্নয়ন দরকার।

আইএমইডি প্রতিবেদনে আরো উঠে এসেছে, জরুরি প্রয়োজনে এই প্রকল্পের অন্যান্য ব্যয় খাত থেকে নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষার অন্য প্রকল্প নেওয়ার আগে চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যে ৪০ কোটি টাকা থোক হিসাবে দেওয়া হয়েছে, তা নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

জিওবি অংশে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা সইয়ের মাধ্যমে যে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাদের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি, যাতে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পটি সুসম্পন্ন করার জন্য স্ব স্ব কার্যাদি যথাসময়ে সমাপ্ত করা হয়।

আইএমইডি রিপোর্ট প্রসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান (পিডি) শওকত আকবর বলেন, পদ্মা নদীর অবস্থা আপনারা সবাই বোঝেন। নাব্যতা সব সময় ঠিক থাকে না। মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। আইএমইডি হয়তো একটা পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। তবে বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় মালামাল আসতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: