মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ইভা খাতুনের, পাশে দাড়ালেন জুনাইদ আহমেদ পলক

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ইভা খাতুন।
ভর্তির সুযোগ পেলেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। কোথায় পাবেন অর্থ, কে দেবেন অর্থের জোগান- এ শঙ্কায় দিন কাটছে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ইভা খাতুনের।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ইভা খাতুনের অর্থাভাবে মেডিকেল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মেয়েটির পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ মুঠোফোনে ইভার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের ঝরনা বেগম ও মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে ইভা খাতুন। তাঁর বয়স যখন দুই বছর চার মাস, তখন তাঁর বাবা কিডনিজনিত সমস্যায় মারা যান। এরপর থেকে অভাব-অনটনের সংসারে মেয়ে বড় হতে থাকে। শেষ সম্বল ১৫ শতাংশ জমিও স্বামীর চিকিৎসা করাতে বন্ধক রাখতে হয়েছে ঝরনা বেগমকে। তাঁকে টিউশনি করে অনেক কষ্টে সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়েছে।
কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ালেখা চালানোর আর্থিক সামর্থ্য নেই তাঁর পরিবারের। ফলে তাঁর পড়ালেখা ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ‘অর্থাভাবে মেডিকেলে পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইভা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, তাঁর ডাক্তার হওয়ার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে করতে চাই। আমি বেঁচে থাকলে তাঁর ডাক্তারি পড়ায় কোনো সমস্যা হবে না।