শিরোনাম

South east bank ad

বাশার ও নোমানের নেতৃত্বে বায়রা

 প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

বাশার ও নোমানের নেতৃত্বে বায়রা

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) ২০২২-২৪-এ নতুন নেতৃত্বে আসছেন সরকার রিক্রুটিং এজেন্সি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বায়রা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের প্যানেলপ্রধান মো. আবুল বাশার এবং সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান। বায়রার সাবেক সভাপতি মো. আবুল বাশারকে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানকে আবারও মহাসচিবের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে আগামী দুই বছর বায়রা পরিচালিত হবে।

এদিকে সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল করে সবার জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে বলে আশ^স্ত করেছেন বায়রা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে ঐক্য পরিষদ ২৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে। আমাদের কাছে ভোটারদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরাও সেই প্রত্যাশা পূরণে প্রস্তুত। ঐক্য পরিষদের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারই হবে আগামী দুই বছরের পথচলা। পেছনে তাকালে সামনে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। এ কারণেই ইশতেহারের ওপর জোর দেওয়া হবে।’

গতকাল বনানীর হোটেল শেরাটন ঢাকায় বায়রা নির্বাচন ২০২২-২৪-এ মোহা. নূর আলীর নেতৃত্বে আবুল বাশার প্যানেলসহ বায়রার সাধারণ সদস্যদের বিজয় উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মোহা. নূর আলী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম বক্তব্য হচ্ছে শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট প্রথা বিলুপ্তি করা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে আর সিন্ডিকেট হতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, মানবপাচার আইনে হয়রানি বন্ধ করা এবং বিদ্যমান আইন পুনর্বিচেনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় সৌদি দূতাবাসসহ যে কোনো দূতাবাসে ব্যবসার প্রয়োজনে বায়রা সদস্যদের লাইসেন্স তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সহায়তা করবে। নতুন বায়রা সদস্য যারা সদস্যপদের সম্পূর্র্ণ টাকা পরিশোধ করেছেন, তাদের পুরনো সদস্যমতো আড়াই লাখ টাকা প্রণোদনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বায়রা তহবিল থেকে প্রতিবার বায়রা সদস্যদের লাইসেন্সের নবায়ন ফি পরিশোধ করা হবে, বায়রা ট্রেনিং সেন্টারের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সমাপ্ত করে ৩ মাসের মধ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ট্রেনিং সেন্টারটির প্রশিক্ষণ এবং আবাসন মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে এবং একে ‘সিটি অ্যান্ড গিল্ডার্স’-এর তালিকাভুক্ত করা হবে। সাশ্রয়ী মূল্যের এয়ার টিকিট, লেবার ফেয়ারের প্রচলন আমাদের দেশে যাতে শুরু হয় এবং সরকার যাতে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করে- তার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হবে। বিমানবন্দর, বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ে বিদেশ গমনেচ্ছু এবং বিদেশফেরত কর্মীদের কল্যাণের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে ‘হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, ‘বায়রার আচরণবিধি বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা দেখছি বায়রার আচরণবিধি ও কালচার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই কালো কালচার থেকে আমাদের মূলধারায় অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। ১৯৯৪ সালে যখন বায়রা সৃষ্টি হয়েছিল, তখন যে কালচার গড়ে তুলেছি তা আস্তে আস্তে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা গেল সিন্ডিকেট ধারা এবং পেশিশক্তি ও টাকার বিনিময়ে সবকিছু করা। এমনকি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয় এমন কিছু কিছু প্রভাবশালী লোকদের দিয়ে কলঙ্কিত করার ঘটনাও দেখা গেল। সেই কালচার থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। এ জন্য আচরণবিধি আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন। এই আচরণবিধি যদি ঠিক করতে না পারি, তা হলে ভবিষ্যতে লাইসেন্স হস্তান্তর করা ছাড়া পথ থাকবে না। গতকাল যারা পরাজিত হয়েছে- তারাই এই কালচারের ধারকবাহক। আমরা এই কালচারকে চিরতরে উৎখাত করতে চাই।’

প্যানেল প্রধান মো. আবুল বাশার বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সৌদি আরবের ব্যবসা খোলার পরে আমরা সবাইকে সমান সুযোগ দিয়েছিলাম। সবাই ব্যবসা করেছেন। মালয়েশিয়ার বাজারটাও সবার জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সবার লাইসেন্সের মূল্য এক রকম। আমরা সবাইকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে চাই। একই সঙ্গে আত্মমর্যাদাপূর্ণ বায়রা করতে চাই। আন্তর্জাতিকভাবে বায়রার মর্যাদা বৃদ্ধি করে বায়রা পরিচালনা করতে চাই।’

বায়রা নির্বাচনে যারা জয়ী : মো. আবুল বাশার ৫০৬ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। এ ছাড়া মো. ফখরুল ইসলাম ৪৮৩ ভোট, মো. আকবর হোসেন মঞ্জুর ৪৬৪, নোমান চৌধুরী ৪৬৭, মিজানুর রহমান ৪৬৭, আলী হায়দার চৌধুরী ৪৬৬, রিয়াজ-উল-ইসলাম ৪৬৪, শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান ৪৬৩, মো. আবুল বারাকাত ভূইয়া ৪৬০, মো. আবু জাফর ৪৫৭, মো. কামাল উদ্দিন দিলু ৪৫৫, শাহাদাত হোসাইন ৪৫৪, মো. টিপু সুলতান ৪৫৪, মো. ফরিদ আহমেদ ৪৫২, মো. আশরাফ উদ্দিন ৪৪৬, মোস্তফা আহমেদ ৪৪৩, মো. বেলাল হোসেন মজুমদার ৪৪১, ইঞ্জিনিয়ার মো. মূসা কালিম ৪৩৬, কাজী মো. মোফিজুর রহমান ৪৩৩, হক জহিরুল (জই) ৪৩৩, মো. রুহুল আমিন স্বপন ৪২৮, আলহাজ মো. আবুল বাশার ৪২৮, আরিফুর রহমান ৪২৪, রেহেনা পারভিন ৪২১, মো. অলি উল্লাহ ৪২১, এমএ সোবাহান ভূঁইয়া হাসান ৪১৭ এবং রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী ৪১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: