ডিসিসিআই ও বুয়েটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। গতকাল সোমবার ৭ জুন ২০২১ইং তারিখে অনলাইনে এ সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠিত হয়।
সই করা সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে শিল্পখাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি শিল্পখাত ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, এছাড়াও ডিসিসিআই এবং বুয়েট যৌথ উদ্যোগে সেমিনার, কর্মশালা, চাকুরি মেলা, ব্যবসায়ী সম্মেলন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের জন্য মডেল উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে।
এ অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ছয়দশক ধরে বিশেষ করে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেছ। পাশাপাশি সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
রিজওয়ান রাহমান আরও বলেন, দেশের বৃহৎ অকাঠামোখাতে উন্নয়ন ও পরামর্শ দেওয়া এবং বিশেষ করে প্রাকৃতিক দূযোর্গ মোকবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে বুয়েট সবসময়ই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিতকরণে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সবশেষে শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে যৌথভাবে খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ডিসিসিআই সভাপতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শিল্প-শিক্ষার সমন্বয়ের মাধ্যমে ভবিষৎ প্রজন্মকে একটি দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তরের ক্ষেত্রে সই করা সমঝোতা স্মারকটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের মানব সম্পদকে পুনঃদক্ষ করার লক্ষ্যে, এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি বলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মত প্রকাশ করেন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশকে একটি শিল্পন্নোত দেশ হিসেবে পরিণত করতে হলে, শিল্পখাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান, আগামীতে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ করে শিল্পখাত বিষয়ক গবেষণা আরও বাড়াতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার আরও বলেন, শিল্পখাতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে শিল্প ও শিক্ষা খাতের সমন্বয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। তিনি সমঝোতা চুক্তিটির যথাযথ বাস্তবায়নে বছর ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করেন। দক্ষতা উন্নয়নে তিনি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আরও বেশি হারে শিল্পখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে মবিন, এফসিএস, এফসিএ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান। বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জাব্বার খান, ফ্যাকাল্টির ডীনরাও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা, ডিসিসিআইর সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।