শিরোনাম

South east bank ad

দেশে দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে সরকারের সুনজরের পরামর্শ দিলেন আকিজ ডেইরির সিইও

 প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কনজুমার প্রোডাক্টস

কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তৈরি ফার্মফ্রেশ ইউএইচটি মিল্ক ভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে আকিজ ডেইরি। ফার্ম ফ্রেশ মূলত সারা দেশ থেকে দুধ সংগ্রহ করে থাকে। প্রধানত পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট অঞ্চলের খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়। দুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তাদের সেরা পণ্যটি দেওয়ার পাশাপাশি খামারিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। দুগ্ধ খামারিদের কাছ থেকে সংগৃহীত দুধ বেশ কিছু ধাপ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর মোড়কজাত হয়ে বাজারে আসে। সেসব ধাপ ও প্রক্রিয়ার অজানা কিছু গল্প তুলে ধরেছেন আকিজ ডেইরির সিইও মো. মোসলেহ উদ্দীন। খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ থেকে ফার্ম ফ্রেশের ফ্যাক্টরিতে আনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় করা হয়ে থাকে। এরপর তারা দুধ সংগ্রহ করার পর ফার্ম ফ্রেশের নিকটস্থ ক্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসে। মাঠপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ল্যাব ও দক্ষ কর্মীবাহিনী রয়েছে। সেখানে দুধের গুণগত মান পরীক্ষা করার পর তা গ্রহণ করা হয়। তারপর দুধকে চার ডিগ্রির কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি যেসকল খামারির কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে, তারা সবাই নিবন্ধিত খামারি। সারা দেশে কোম্পানিটির প্রায় ১০ হাজারে মতো নিবন্ধিত খামারি রয়েছে। তারা নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা বৃদ্ধি করছেন। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ফার্ম ফ্রেশের নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ৫০ হাজার করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ১৪০-১৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করে দুধকে ইউএইচটি দুধে রূপান্তর করা হয়। এ উচ্চ তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করার ফলে দুধ সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত হয়। সুইডেনের অত্যাধুনিক মেশিনে প্রসেসিং করে ছয় স্তর বিশিষ্ট অ্যাসেন্টিক ফিলিং পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত করা হয়। প্যাকেট এবং দুধ দুটোই স্টেরিলাইজড করা হয়। যার ফলে কোনোভাবে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা থাকে না। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফ্রিজিং করা ছাড়াও প্যাকেটজাত দুধ ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। কিন্তু, দেখা গেছে এক বছর পর্যন্তও এ দুধের গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকে।

দেশে দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে সরকারের সুনজরের পাশাপাশি বিদেশি গুঁড়োদুধ আমদানি করা কমানোর পরামর্শ দেন আকিজ ডেইরির সিইও মো. মোসলেহ উদ্দীন । তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখনো দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। দুগ্ধ শিল্প এখনো অবহেলিত একটি শিল্প। এজন্য এ খাতে সহযোগিতায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আর চড়া দাম দিয়ে গুঁড়াদুধ আমদানি ধীরে ধীরে কমিয়ে এক পর্যায়ে তা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি গরুর জাত উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন গাভী সরবরাহ করা অত্যন্ত জরুরি।
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলি দুধ পান করা উচিত। কিন্তু, বাংলাদেশের মানুষের দুধপানে কিছুটা অনীহা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে শিশুরা একদমই দুধ খেতে চায় না। এ অনীহা দূর করার জন্য ফার্ম ফ্রেশ দুধে ফ্লেভার যোগ করেছে। ফ্লেভার দুধের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গো, চকোলেট, ক্ষীর, ভ্যানিলা, এলাচ। এতে দুধপানে অনীহা অনেকটাই কমেছে, স্বাদেও এসেছে বৈচিত্র্য।

BBS cable ad

কনজুমার প্রোডাক্টস এর আরও খবর: