কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন আজ : প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের জন্মদিন উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং কবির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ-সংস্কার, নারীমুক্তি এবং শিশুতোষ রচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বেগম সুফিয়া কামালের লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে। কবি বেগম সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়।’
২০ জুন কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৯তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ জুন) দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রীনিবাসের নাম ‘রোকেয়া হল’ রাখা হয়। শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা।’
তিনি বলেন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। তার স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ‘বেগম সুফিয়া কামাল হল’ নির্মাণ করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫-এর ১৫ই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এ দেশের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তার সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা জুগিয়েছিল।’
কবি বেগম সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি এক দিকে ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী সুফিয়া কামালের ‘বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি, পল্লী-মায়ের কোল’, ‘ঝাউশাখে যেথা বনলতা বাঁধি, হরষে খেয়েছি দোল’, ‘কুলের কাঁটার আঘাত সহিয়া, কাঁচা-পাকা কুল খেয়ে’, ‘অমৃতের স্বাদ যেন লভিয়াছে, গাঁয়ের দুলালী মেয়ে’ কবিতার অংশ বিশেষ উল্লেখ করেন।