শিরোনাম

South east bank ad

ভারতের গৌহাটিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু

 প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন (২২-২৬ ডিসেম্বর ২০২০) এর আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুক্রবার বিকেল ০৩.০০ ঘটিকায় ভারতের গৌহাটিতে শুরু হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম, বিজিবিএম (বার), এনডিসি, পিএসসি [Major General Md Shafeenul Islam, BGBM (BAR), ndc, psc] এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা, আইপিএস (Rakesh Asthana, IPS) এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ফ্রন্টিয়ার আইজিগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

এবারের সম্মেলনে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ আলোচিত হয়েছে :

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর গুলি চালানো ও আহত/হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এধরনের কর্মকান্ড বন্ধে করনীয়।

ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ভায়াগ্রা/সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধ। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য/মাদকদ্রব্যের কারখানা/গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়।

ভারত হতে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ এবং অস্ত্র চোরাচালান রোধে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য বিনিময়।

বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লংঘন/অবৈধ পারাপার/অনুপ্রবেশ রোধ।

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে ভারত কর্তৃক অনুমোদনহীন উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ না করা এবং বন্ধ থাকা বাংলাদেশের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা।

উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন।

রাজশাহী সীমান্তের চর মাজারদিয়া ও চর খানপুর এলাকার স্থানীয় জনসাধারনের চলাচলের সুবিধার্থে পদ্মানদীর ভারতীয় অংশ ব্যবহারের অনুমতি নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।

ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়।

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রত সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন।

পারস্পারিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।

২৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’(Joint Record of Discussions-JRD) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

BBS cable ad

বিজিবি এর আরও খবর: