শিরোনাম

South east bank ad

টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে এক আসামীসহ এক কোটি আশি লক্ষ মূল্যের ষাট হাজার ইয়াবা উদ্ধার

 প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিজিবি

গত রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল তাদের নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিল। পরবর্তীতে টহলদল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, জীম্বংখালী ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ নকুল মেম্বারের চিংড়ির ঘেরের বাঁধের পার্শ্বে গোপনে অবস্থান নেয়। আনুমানিক ০০৩০ ঘটিকায় টহলদল ০৩ (তিন) জন ব্যক্তিকে অন্ধকারের মধ্যে নাফ নদী হতে জীম্বংখালী ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকার ৪০০ মিটার উত্তর দিক দিয়ে বেড়ী বাঁধের উপর উঠতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি’র উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই উল্লেখিত ব্যক্তিরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে টহলদল ধাওয়া করতঃ ০১ (এক) জন ইয়াবা পাচারকারীকে একটি প্লাস্টিকের বস্তাসহ আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর ০২ (দুই) জন ইয়াবা পাচারকারী উল্লেখিত বাঁধের আঁড় ব্যবহার করে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভিতর দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত প্লাস্টিকের বস্তাটি খুলে তার ভিতর হতে ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। আটককৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা নিম্নরূপঃ
ক। মোঃ হেলাল উদ্দিন (২৬), পিতা-মোঃ জালাল আহম্মেদ, গ্রাম-খারাংখালী মহেষখালীপাড়া, ডাকঘর-কাঞ্জরপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।

পালিয়ে যাওয়া ইয়াবা পাচারকারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের আটকের করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

BBS cable ad

বিজিবি এর আরও খবর: