শিরোনাম

South east bank ad

পাঁচ ব্যাংকের ৭৬ লাখ গ্রাহক আমানত ফেরত পাবেন

 প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ব্যাংক

পাঁচ ব্যাংকের ৭৬ লাখ গ্রাহক আমানত ফেরত পাবেন

একীভূত হওয়া পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেয়া শুরু হতে পারে। এ উদ্যোগের ফলে ৭৬ লাখ গ্রাহক আমানত ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘ডিপোজিট গ্যারান্টি ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ করা হয়েছে। নতুন ব্যাংকটি প্রথম বা দ্বিতীয় বছরেই মুনাফার মুখ দেখতে পারে।’৴

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ স্টেট অব দি ইকোনমি ২০২৫’ ও ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০২৫’ প্রকাশ ও উপস্থাপন উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

গভর্নর বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশে দ্রুত অবমূল্যায়িত মুদ্রা, কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বেড়ে যাওয়া খেলাপি ঋণ, তারল্য সংকট ও ব্যাহত বাণিজ্যপ্রবাহের মতো সংকট বিদ্যমান ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম, বিনিময় হার স্থিতিশীল না হলে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় সম্ভব নয়।’ দায়িত্ব গ্রহণের সময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল প্রায় ১২০ টাকা, যা বর্তমানে পুরোপুরি বাজারভিত্তিক ব্যবস্থায় স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।

ড. মনসুর বলেন, ‘দেশের বৈদেশিক খাত এখন ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত, আর্থিক হিসাবেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক পরিশোধ ভারসাম্য এখন উদ্বৃত্তে রয়েছে।’ তিনি জানান, এক বছর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেখানে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল, সেখানে বর্তমানে তা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।

সুদহারের বিষয়ে গভর্নর স্পষ্ট করে বলেন, ‘এখনই সুদহার কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’ মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫ থেকে কমে ৮ শতাংশের একটু ওপরে নেমে এলেও বাস্তব সুদহার সামান্য ইতিবাচক রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘মুদ্রানীতি পুরোপুরি বাজারভিত্তিক থাকবে। সুদহারে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।’

সরকারের ঋণ গ্রহণের চাহিদার কারণে অর্থবাজারে কিছুটা চাপ তৈরি হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই অর্থ ছাপার পথে যায়নি বলে জানান গভর্নর।

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণের (এনপিএল) পরিমাণ দীর্ঘদিন ধরে কম দেখানো হচ্ছিল। স্বচ্ছতা আনার পর দেখা গেছে, প্রকৃত খেলাপি ঋণের হার ৩৫ শতাংশেরও বেশি, যা স্বীকার করা অস্বস্তিকর হলেও এটি বাস্তব সত্য।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণে উল্লেখযোগ্য হ্রাস লক্ষ করা যাবে।’

গভর্নর জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং নয়টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি আমানত বীমা আইন, ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ ও ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনসহ গুরুত্বপূর্ণ আইনি সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।

এদিন জিইডির প্রকাশিত এসডিজি অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসডিজি অর্জনে এখনো পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মাত্র চারটিতে আশানুরূপ অগ্রগতি হলেও পিছিয়ে রয়েছে ১৩টিতে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, দ্রুত নগরায়ণ, সুশাসন, সামাজিক বৈষম্য ও জলবায়ু ঝুঁকির মতো চ্যালেঞ্জগুলো রয়ে গেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে এসব খাতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করতে হবে।

এসডিজি প্রণয়নের প্রায় ১১ বছর পার হলেও বাংলাদেশ আশানুরূপ রূপান্তর করতে পারেনি। প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা, জ্বালানি ও অবকাঠামোতে দ্রুত অগ্রগতি করলেও স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বৈষম্য, টেকসই নগরায়ণ, জলবায়ু ও সুশাসন খাতে অগ্রগতি ধীর। বৈষম্য বৃদ্ধি, অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, শহরাঞ্চলের চাপ এবং দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এসডিজি অর্জনের সবচেয়ে বড় বাধা। অগ্রগতিকে দ্রুততর করতে সুশাসন, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য খাত ও স্থানীয় পর্যায়ের বাস্তবায়নে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে চারটিতে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, ছয়টিতে মাঝারি অগ্রগতি, পাঁচটিতে স্থবিরতা এবং দুটিতে একেবারে পিছিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এসডিজি-১ অর্থাৎ দারিদ্র্যমুক্তকরণে বাংলাদেশের অগ্রগতি একই রকম, চরম দারিদ্র্যের হার কমেছে। তবে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য বেড়েছে। এ খাতে অগ্রগতি হলেও গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার ২২ এবং শহরে ১৪ শতাংশ রয়ে গেছে। এখানে আরো অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। ক্ষুধামুক্ত লক্ষ্যে বাংলাদেশ কিছু অগ্রগতি হলেও এখনো সীমিত। খাদ্যের ক্রমবর্ধমান দাম, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্যের প্রাপ্যতা, উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র লবণাক্ততা, আবাদযোগ্য জমি হ্রাস এখনো চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে কৃষিক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের অনুপাত বাড়ানো, কৃষি আধুনিকীকরণকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করে জিইডি। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এখনো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমে এলেও হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ বেড়েছে। এসব রোগের প্রভাব পড়েছে চিকিৎসার ব্যয়ে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার অভাবে গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসা সীমিত। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে আঞ্চলিক বৈষম্য রোধ এবং প্রান্তিক পর্যায়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ সূচকে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের আরেক বড় বাধা হচ্ছে গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষক ও শিক্ষার সম্পদের অভাবে। বাংলাদেশকে শিক্ষার মান উন্নত করতে হলে পাঠ্যক্রম সংস্কার, প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মনে করেন জিইডি। লিঙ্গসমতা লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশ অগ্রগতির পথে থাকলেও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। দেশে এখন ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ করছেন। সরকারি বাজেটেও নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নারীর কম মজুরি, অনানুষ্ঠানিক খাতে নারীর অংশগ্রহণ অগ্রগতির জন্য বাধা। বিশুদ্ধ পানীয় ও স্যানিটেশন খাতে সুবিধা কিছুটা বাড়লেও পানি সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে। সমস্যা দূর করতে হলে বাংলাদেশকে স্যানিটেশন সেবা উন্নত করা, পরিশোধিত পানীয় ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সাশ্রয়ী মূল্যের এবং পরিষ্কার জ্বালানিতে অগ্রগতি পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো জ্বালানির ন্যায্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত এবং জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অনুপাত বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেকারত্বের হার। দরিদ্রদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো কর্মসূচি থাকার পরও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং কর্মসংস্থানের মানে পিছিয়ে থাকায় এসডিজির এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন। শিল্প ও উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ এখনো আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধি, আর্থিক ও আইনি পদক্ষেপ জোরদার করা প্রয়োজন। বৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশ এখনো সমস্যা হয়ে রয়ে গেছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে ধনী ও দরিদ্রের হার কমানো যায়নি। এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের আরেকটি বড় বাধা হচ্ছে টেকসই শহর ও সম্প্রদায় সৃষ্টিতে অপরিকল্পিত নগরায়ণের সম্মুখীন হওয়া। যেখানে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ শহরে বসবাস করলেও তার অর্ধেক বস্তিতে বসবাস করে। এছাড়া নাগরিক সমস্যা প্রকট। সম্পদের দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন ধরনে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এজন্য পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়া জরুরি। বাংলাদেশের মানুষ এখনো জলবায়ু পরিবর্তনের সৃষ্ট দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এজন্য জলবায়ু নীতি প্রণয়ন জরুরি। মেরিন সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন এলেও বাজেটের সীমাবদ্ধতা, দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক জটিলতা দূর করা প্রয়োজন। স্থলজ জীববৈচিত্র্য লক্ষ্যমাত্রায় সীমিত অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে বনায়নে অগ্রগতি হলেও বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস এখনো প্রধান সমস্যা।

এসডিজি অর্জনে সবচেয়ে প্রধান লক্ষ্য ধরা হয় শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু সেখানে একেবারে নাজুক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। জিইডি প্রতিবেদনে বলছে, আইনের শাসন সমুন্নত রাখা এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ নিশ্চিত করা এখনো কঠিন। দুর্নীতি রয়ে গেছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দুর্বল হয়েছে। একটি দক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার অভাবে ন্যায়সংগত এবং উন্মুক্ত আইনি ব্যবস্থা বিকাশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এবং সর্বশেষ অংশীদারত্ব লক্ষ্যে বাংলাদেশ অগ্রগতি পেয়েছে। উন্নয়ন সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব এবং তথ্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অগ্রগতি হয়েছে।

এ বিষয়ে জিইডি সদস্য (সচিব) ড. মনজুর হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌এসডিজি অর্জনে কয়েকটি ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। এ পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ এসডিজির ১৬ নম্বর লক্ষ্য। যেখানে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে সরকার সেভাবে মনোযোগী ছিল না বলে অনেক লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। আগামী পাঁচ বছরে লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ বলেন, ‘‌অন্তর্বর্তী সরকার দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতিবাচক অগ্রগতি করছে। এসডিজিতে অগ্রগতি হলেও তা এখনো অসম এবং অনিয়মিত। সরকার দেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে ফিরিয়ে এনেছে এবং গভীর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকারের লক্ষ্য এখন এসডিজি কেবল পূরণ করা নয়, বরং প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ, নীতি সংস্কার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তা, নারী ও যুবদের জন্য সহজ-সাশ্রয়ী প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আয় সৃজন এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‌দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা বাধা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে স্থিতিশীলতা এনেছে। তার মধ্যে দেশের আসন্ন এলডিসি থেকে উত্তরণ অবশ্যই জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, কাঠামোগত সংস্কার এবং দোহা কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। অর্থনীতিতে বিভিন্ন বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ নেতিবাচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি এড়াতে সক্ষম হয়েছে, যা একই ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার হওয়া কিছু দেশের অভিজ্ঞতার চেয়ে আলাদা।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘‌আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত কমের দিকে। কয়েক বছর আগেও এটা ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। এখন সেটা ৭-এর আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। আমরা এরই মধ্যে ঋণের ফাঁদে পড়েছি, এ সত্য স্বীকার না করলে সামনে এগোনো সম্ভব নয়। রাজস্ব আয় বেড়েছে, কিন্তু যতটুকু আয় প্রয়োজন তার ধারেকাছে আমরা নেই। এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব এসএম শাকিল আখতার, সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

BBS cable ad

ব্যাংক এর আরও খবর: