ব্যাংকে গ্রাহকের উপচেপড়া ভিড়, টাকা তোলার হিড়িক

আগামী ৭ জুন (শনিবার) দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে সরকার ঘোষিত টানা ১০ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে। ফলে আজ বুধবার ব্যাংকিং কার্যক্রমের শেষ কর্মদিবস। এই শেষ দিনে রাজধানীসহ সারা দেশের ব্যাংক শাখাগুলোতে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলতে ভিড় করেছেন।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংক শাখাগুলোতে সকাল থেকেই গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। নগদ টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি নতুন নোট সংগ্রহ, চালানপত্র ও ডিপোজিট জমা দেওয়ার জন্যও গ্রাহকদের লাইন দেখা গেছে। বেশিরভাগ গ্রাহকই কোরবানির পশু ক্রয়, পরিবারের সদস্যদের জন্য সালামি প্রদান এবং গ্রামে অর্থ পাঠানোর উদ্দেশ্যে নগদ টাকা তুলেছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে গ্রাহকদের চাপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি পূর্বানুমান করে তারা আগেই প্রস্তুতি নিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে সব সময় ভিড় হয়। মানুষজন ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে যাবে, কোরবানির পশু কিনবে, তাই টাকা তুলছেন। আবার কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতেও নগদ অর্থ তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে।
এটি এম বুথে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ সরবরাহ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবাগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কোরবানির পশুর হাট সংলগ্ন বা নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা ও উপশাখা এবং সংশ্লিষ্ট পশুর হাটে স্থাপিত অস্থায়ী বুথগুলোতে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, তারা ঈদের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নগদ টাকা তুলতে এসেছেন। কেউ কোরবানির পশু কেনার জন্য, কেউ পরিবারের সদস্যদের জন্য সালামি দেওয়ার জন্য, আবার কেউ গ্রামে অর্থ পাঠানোর জন্য ব্যাংকে এসেছেন। তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের আগাম প্রস্তুতির কারণে গ্রাহকরা তুলনামূলকভাবে দ্রুত সেবা পেয়েছেন।