কিলার মহসিন র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক মিরপুরের শাহাদাত বাহিনীর পেশাদার খুনী চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের ৪-৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ পল্লবী থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গোপন আস্তানায় বিশিষ্ট কোন ব্যক্তিকে খুনের পরিকল্পনার প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। এরুপ, প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ৩১/০৭/২০২০ ইং তারিখ রাত ০২.৪০ ঘটিকার সময় র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল পল্লবী থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় উক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করার জন্য পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের খোঁজাখুঁজির প্রাক্কালে সড়কের ঢাল হতে জঙ্গল ও ঝোপের ভিতর থেকে উক্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আচমকা র্যাবের উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষে গুলি বিনিময়ের পর সন্ত্রাসী গ্রুপকে ধাওয়া করলে ৩-৪ জন রাতের অন্ধকারে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ঝোপের ভিতর তল্লাশীকালে একজনকে আহত অবস্থায় ০১টি বিদেশী পিস্তলসহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তার দেহ তল্লাশী করে তার প্যান্টের ডান পকেটে ১১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। র্যাবের আভিযানিক দল তাৎক্ষণিক আহত ব্যক্তিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আজ শুক্রবার ৩১/০৭/২০২০ ইং তারিখ ভোর ০৩.১০ ঘটিকার সময় মৃত বলে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনকে মৃতের ছবি দেখানো হলে অনেকেই তাকে শাহাদাত বাহিনীর শীর্ষ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুর পল্লবী এলাকার ৭-৮টি খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও খুনী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী মহসিন @ কিলার মহসিন হিসেবে চিহ্নিত করে।
স্থানীয়দের মৌখিক তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, নিহত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর মূল নাম মহসিন @ কিলার মহসিন অসংখ্য হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী। পরবর্তীতে জানা যায়, উক্ত আসামী বিভিন্ন সময়ে একাধিক নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে শাহাদাত বাহিনীর হয়ে ২০০০ সাল হতে ২০১৫/২০১৬ সাল পর্যন্ত চাঁদাবাজী, হত্যা, খুনসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে। ২০১৫/২০১৬ সালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার মুখে শাহাদাত বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়লে কিলার মহসিন ভারত পালিয়ে সেখানে আত্মগোপণে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত এর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা তাহাদের অনুকূলে আসলে ২০১৭ সালে পূনরায় বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং বিয়ে করে ছদ্ম নাম ফরহাদ ধারণ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বসবাস শুরু করে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রিক্সার গ্যারেজ করে রিক্সা ব্যবসার আড়ালে পূনরায় তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালু করে। বর্তমানে সে সরাসরি মোবাইল ফোনে সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর কিলার মহসিন পরিচয়ে মিরপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিল্পপতি, ধনি ব্যাক্তিদের নিকট চাঁদা দাবী করে আসছে।