শিরোনাম

South east bank ad

মমেক হাসপাতালের সিটিস্ক্যান মেশিন নষ্ট ১১ দিন ধরে, ভোগান্তিতে রোগীরা

 প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মমেক) রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিন ১১ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা সিটি স্ক্যান করাতে না পেরে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছেন। গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

রেডিওলজি বিভাগের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ইনচার্জ গণেশ বাড়ৈ জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিটি স্ক্যান মেশিনের টেবিলের পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হয়। এরপর থেকে মেশিনটি অকেজো হয়ে পরীক্ষা বন্ধ আছে।

তিনি আরও জানান, সিটি স্ক্যান মেশিন সচল থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৬০টি পরীক্ষা করা যায়। এই মেশিনে রোগীদের ব্রেইন, বুকের এইচআরসিটি ও পেট স্ক্যান করা হয়।

সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করাতে গিয়ে দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয়। বাইরে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করাতে গুণতে হয় সাড়ে তিন হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।

হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন কামরুল হাসান জানান, সিটি স্ক্যান মেশিন নষ্ট থাকায় রোগীকে খুব কষ্ট করে বাইরে নিয়ে গিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে অতিরিক্ত টাকা।

আরেক রোগীর স্বজন মেহেরজান জানান, পরীক্ষা করাতে হাসপাতাল থেকে বাইরে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিতে হলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

রোগীকে নিতে গিয়ে ট্রলিম্যানকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় এবং বাইরের ডায়গনিক সেন্টারে পরীক্ষা করানো ফি কয়েকগুণ বেশি। এতে গরিব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা করাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

মমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সিটি স্ক্যান মেশিন সচল করতে জাপান থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ৬ মার্চ থেকে মেশিন সচল হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের কয়েক জেলার প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। দ্রুতই সিটি স্ক্যান মেশিনটি সচল করে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনের দাবি রোগী ও স্বজনদের।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: