হাসপাতালে একসাথে নয়জন ডাক্তার যোগদান করলেন
এম, নুরুন্নবী, (ভোলা):
ভোলার তজুমদ্দিনে ৩১ সয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সাথে নয় ডাক্তার যোগদান করেছেন। এতে উপজেলার দেড় লক্ষাধীক মানুষের চিকিৎসা সেবার উন্নতি ঘটবে বলে আশা করছে সাধারন মানুষ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ৩১ সয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে প্রথম শ্রেনির ১৫ টি পদ থাকলেও নয়টি পদ শুন্য ছিলো। এমন অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রাকাশিত হয়। এরপর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত ২৩ ফেব্রুয়ারী এক আদেশে ৪২ তম বিসিএস হতে নয়জন মেডিকেল অফিসারকে এই হাসপাতালে পদায়ন করে।
গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে তাদের কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে করেন ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান, ডাঃ শাহানা শারমিন, ডা: তাসমিয়া ইসলাম, ডা: তাহমিনা আক্তার ননী, ডাঃ জিজারিন তাসনিম, ডাঃ মোঃ রোমান মোল্লা, ডাঃ জান্নাতুন নাঈম, ডাঃ তানভীর আহমেদ লিপু, ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মরতুজা।
এরফলে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম শ্রেণীর (মেডিকেল অফিসার) কোন পদ শুন্য নেই। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে যোগদান করে ডাঃ নোমান সদর হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে প্রেষণে চলে যান। অন্যদিকে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মেডিকেল অফিসার ডাঃ মরিয়ম বেগম ও ডাঃ নাছরিন ফাতেমা এমডি প্যাথেলজি কোর্সের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে যোগদান করবেন। সেক্ষেত্রে আবারও দুটি পদ শুন্যসহ তিন জন ডাক্তার কম থাকবে হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, হাসপাতালটিতে দ্বিতীয় শ্রেনির ৩১ টি পদ থাকলেও শুন্য রয়েছে ১৭ টি পদ। তৃতীয় শ্রেনির ৮৫ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছে মাত্র ৫৬ জন। চতুর্থ শ্রেনির ১৯ জনের মধ্যে আটটি পদই শুণ্য। এই পদ গুলোতেও লোকবল পদায়নের দাবী করেছে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধূরী শাওনের প্রচেষ্টায় প্রায় ৪ বছর আগে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ সয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৯ সালের মধ্যে ভবন নির্মান, চিকিৎসা সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহ সম্পন্ন হয়। করোনার প্রকোপ শুরু হলে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভবনটি প্রাথমিক কার্যক্রমে ব্যবহার শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ৫১ সয্যারর কার্যক্রম চালু করা যায়নি। স্থানীয়দের আরো দাবী, হাসপাতালটিতে ৫০ সয্যা দ্রুত চালু করলে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কবির সোহেল জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এখানে নতুন করে নয়জন ডাক্তার পদায়ন করেছে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের বড় একটি উপহার। এতে সেবার মান ও হাসপাতালের সার্বিক কর্মকান্ড আরো গতিশীল হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর অন্যান্য পদগুলো পুরনের জন্যও মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।