পরকীয়ার জেড়ে ইকবাল হত্যা মামলার বাদী ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন
মো. নজরুল ইসলাম, (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহে পরকিয়ার জেরে তারাকান্দার পলাশকান্দা গ্রামের মো শাহীনুর আলম ওরফে ইকবাল হত্যা মামলায় নিরীহদের আসামী দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া করার প্রতিবাদে এবং মামলার রহস্য উদঘাটনে বাদীসহ তার স্ত্রী ও স্বজনদের গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী ।
আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়।মানববন্ধন চলাকালে ওই গ্রামের মে আব্দুল হেলিম লিখিতভাবে জানান, মুলত: ইকবাল হত্যা মামলার বাদী সেলিম মিয়ার ফুফা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মুক্তার ত্রিভুজ প্রেমের বলী হয়েছেন ইকবাল। মুক্তাকে নিয়েই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
পারিবারিক সম্নতিতে সেলিম মিয়া বিয়ে করেন তার ফুফা আব্দুর রাজাজাকের মেয়ে মুক্তাকে। বিয়ের আগে মুক্তার সাথে
সেলিম মিয়ার ছোট ভাই রুহুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।এ কথা জেনেও মুক্তাকে বিয়ে করেন সেলিম। তিনি চাকরি সুবাদে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন। মুক্তা এসময় একাই তার ঘরে থাকতেন। তার পাশের ঘরে থাকতে ইকবাল। এ সুযোগে সেলিমের অনুপস্থিতিতে ইকালের সাথে মুক্তার অবৈধ সম্পর্ক তৈরী হয়। ইকবাল যে রাতে নিখোজ হন তার তিনদিন আগে মুক্তার সাথে।
ইকবালের সম্পর্ক নিয়ে সেলিম ইকবালকে মারধর করেন এবং ভাতের প্লেট কেড়ে নেন। এ বিষয়ে তার মা জামিনা খাতুন দুই ছেলেকেই তিরস্কার করেন। আমি চাই এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। এ বিষয়ে সেলিম তার স্ত্রী মুক্তা , সেলিমের মা জামিনা খাতুন এবং সেলিমের ছোট ভাই রুহুল, সেলিমের কাজের বুয়া শিল্পী মুক্তার ত্রিভুজ প্রেমের কথা সকলেই অবগত আছেন। মামলার রহস্য উদঘাটনে তাদেরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জোড় দাবি করছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ইকবাল হত্যার আসল ঘটনা বেড়িয়ে পড়বে তার বিশ্বাশ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, আব্দুল বেপারী, শাহাবুল আলম, মো বাবুল, মামুন পন্ডিত, শহীদুল্লাহ, কাইয়ুম, মিরাজ, আনভির ইসলাম, নিশান, ইমন , আকাশ, আলামিন, রনি, প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ইকবাল গত বছর ৩১মে রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ীর পাশে জনৈক সাজ্জাদ মিয়ার দোকানে চা খাইতে যায়।সে আর বাড়ীতে ফিরে নাই।কোথাও খোজ করে তাকে না পেয়ে পরদিন ১লা জুন নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রউফ তারাকান্দা থানায় একটি নিখোঁজ (জিডি নং- ৩৮ ) করেন।
এই জিডির পর ৫ জুন সকাল ০৭ ঘটিকার সময় পলাশকান্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ জব্বারের পরিত্যক্ত হাউজি খেলার সেফটি ট্যাঙ্কির ভিতর থেকে পুলিশ ইকবালের লাশ উদ্ধার করে। পরে মামলার বাদী মো সেলিম মিয়া তার ছোট ভাই শাহীনুর আলম ওরফে ইকবাল (১৯) লাশ সনাক্ত করেন। পরে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ৬ জুন তারাকান্দা থানায় তার একমাত্র সন্দেহভাজন পলাশকান্দা গ্রামের আসিফ নাঈম রানা (১৮)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
সেই অভিযোগপত্রে আসামী হিসেবে আমি দরখাস্তাকারী ও আমার ভগ্নিপতির নাম নাই। আমার ভগ্নিপতি ইউনুছ আলী মামলার বাদী সেলিম মিয়ার ফুফা। ফুফার সাথে পুর্ব থেকে ইজমালি জমিজমা নিয়ে গোষ্টিগত মামলা মোকদ্দমা সহ বিরোধ বিদ্যমান। সেলিম মিয়াও আমারগোষ্টিগত চাচাতো ভাই।আমার ভগ্নিপতির সাথে সেলিম মিয়াদের উদ্ভুত সকলসমষ্যায় আমি আমার ভগ্নিপতির পাশে দাড়াই।
আমাকে বার বার সেলিম মিয়া ভগ্নিপতির পাশে দাড়াতে মানা করতেন না শুনলে সুয়োগ পেলে ফাশিয়ে দিবেন বলেও হুমকি দিতেন।যে কারনে আমাকে ও আমার ভগ্নিপতিকে শায়েস্তা করার জন্য আমাদেরকে ওই মামলায় প্রতিহিংসা মুলক ভাবে জড়ানো হয়েছে।
আমি উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্ত আছি। কিন্তু বাদী সেলিম মিয়া গংদের অত্যাচরে আমি নিজ বাড়িতে যেতে পারছিনা।ধর্মীয় অনুষ্টান আচার পালন করতে পারছি না। এতে আমার মাছ ও মুরগীর প্রজেক্ট ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে জমিজমি চাষাবাদ করতে না পেরে অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।বাড়িতে আমার বৃদ্ধ বাবা মা অসুস্থ তাদের চিকিৎসা করতে পারি না। সম্প্রতি সেলিম মিয়ার বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে আমার বাবাকে ঘাড় ধরে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছেন সেলিম মিয়া।