অসময়ে বর্ষনের শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি
শেখ জাহান রনি, (হবিগঞ্জ):
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অব্যাহত ভাবে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাষ হওয়া আলুর সহ শীতকালীন সবজির জমিতে পানি জমে গেছে।
এতে উৎপাদিত শীতকালীন সবজি সহ আলু পঁচে যাওয়ার আশংকা করছে কৃষকরা। বৃষ্টির কারনে সেই আলু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। সব মিলিয়ে এবার আলু চাষে বিশাল লোকসানের শংকা করছেন তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় জমিনে ছড়িয়ে থাক গাছ গুলো বৃষ্টির পানির নীচে তলিয়ে গেছে। কিছু গাছ পানির উপরে থাকলেও নীচে অংশ পানির তলে। এয়াড়া মাটির নীচ থেকে তোলে জমিতে রাখা আগাম জাতের আলূ উঠানেরা যাচ্ছে না বৃষ্টির কারনে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ যন্ত্র ব্যবহার করছে কেউ কেউ।
কৃষকরা জানান হঠা করে বৃষ্টির পানি জমিতে জমে থাকায় তাদের আলু পঁচে যাওয়ার শংকা রয়েছে। দু’কয়েকদিনে মধ্যে পানি নিষ্কাশন না হলে আলুতে পঁচন ধরবে। ঠিক সময়ে আলু উত্তোলন করতে না পারলে সেই জমিতে ইরি-বোওে আবাদ করা যাবে না। এ নিয়ে তারা দুশ্চিতা ও হতাশায় ভোগছেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়- উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
আদাঐর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আলু চাষি শাহজাহান মিয়া জানান-এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে আলূ চাষ করেছেন। এক বিঘা জমি থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। জমিতে পানি থাকায় বাকী আলু উত্তোলন করা যাচ্ছে না। এ অবস্থা থাকলে আলু পঁচে যাবে।
পৌর এলাকার কৃষক মোহন মিয়া জানান এমনিতেই আলুর দাম কম। এরই মাঝে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তিনি লোকশানের আশংকা করছেন। চৌমুহনী ইউনিয়নের কৃষক মোঃ ইসহাক বলেন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় সকাল থেকে থালা দিয়ে নিষ্কাশন করছি কিন্তু কোনো লাভই হচ্ছে কারণ নিচ থেকে পানি তুললে কি হবে, উপর থেকে বৃষ্টির পানি পরে আবার ক্ষেত ডুবে যাচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি, যা হয় হোক।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন আল হাসান জানান- বৃষ্টিতে আলু ও টমেটোর ক্ষতি আশংকা থাকায় ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি হতে পারে তা কৃষকদের আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রেরন করা হয়েছে কৃষকদের পর্রামশ দেয়ার জন্য।