শিরোনাম

South east bank ad

একটি রাস্তার অভাবে ভোগান্তিতে হাজারো পরিবার

 প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

জাকির হোসেন, (ফরিদপুর):

ফরিদপুর-সালথার, ঘাটাকুড়া-পাকুড়িয়া সড়কটি দুই উপজেলার সংযোগস্থল। এখানে মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক ও একটি ব্রীজ না থাকায় লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছে দীর্ঘ ৫০ বছর বছর যাবৎ। এলাকারবাসীর দাবি, মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক ও একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘ ৫০ বছরও পুরণ হয়নি। ফলে ফরিদপুর সদরের সাথে যোগাযোগব্যবস্থার ভোগান্তি কোন অবস্থাতেই কাটছেই না।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, সালথা উপজেলা সদর থেকে কানাইপুর বাজারে আসার সহজ রাস্তা এবং অল্প সময়ে আসার একমাত্র পথ ঘাটাকুড়া-পাকুড়িয়া সড়কটি। যাহা স্থানীয় বটতলা হতে ভাবুকদিয়া গ্রাম পর্যন্ত কোন রকম পায়ে হাঁটা একটি সড়ক হয়ে পৌঁছেছে। এই কাঁচা সড়কটিকে নতুন করে নির্মাণের কেউ চেষ্টাও করেনি।

স্থানীয় কৃষকরা যদি কোন কৃষিপন্য বাজারে নেয় ,অথবা বাজার থেকে কিনে আনেন, সবই মাথায় বহন করে আনতে হয়। সময়ও লাগে তিনগুনের বেশী। পাশা-পাশি একই সড়কটির মাঝখানে ছোট একটি খালের ব্রীজ নির্মান না হওয়ায়, জন ভোগান্তি আরো চরমে পৌঁছছে। দেখার যেন কেউ নেই।

২০ গ্রামের মানুষের মুখে একটাই কথা, ডিজিটাল এই যুগে, ফরিদপুর-সালথার সংযোগ সড়কের মাত্র এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার নির্মাণের কোন উদ্যোগ নাই কেন? অথচ এই কাঁচা রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করা হলে ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াতের সুবিধা পেতো।

এই সড়কটিতে একটি খাল রয়েছে। খালের উপর ব্রীজ না থাকায় জনসাধারণের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফরিদপুর-সালথা উপজেলার গট্টি ও সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের সংযোগস্থল ঘাটাকুড়া-পাকুড়িয়া বটতলা হতে ভাবুকদিয়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা ও ব্রীজ না থাকায় সব চেয়ে কষ্ট হচ্ছে শত শত কৃষকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া ঘোষের বাজার হতে ঘাটাকুড়া -পাকুড়িয়ার বটতলা পর্যন্ত একটি মাটির রাস্তা গিয়ে থেমে গেছে। এই রাস্তাটি শুরু হয়ে ভাবুকদিয়া পর্যন্ত শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হটাৎ করে অজ্ঞাত কারণে রাস্তা নির্মাণের মাটির কাজটি মাঝ পথে থেমে যায়। ফলে দুটি উপজেলার সাথে চলাচলকারী সকল পর্যায়ের মানুষের ভোগান্তি স্থায়ী হয়ে যায়।

স্থানীয় কালাম মাতুব্বর, কৃষক রহমান, জেলে আঃ রহিম, কলেজ ছাত্র মিনান, স্কুল ছাত্রী রহিমা, দিনমজুর শুকুর আলী, মুদিদোকানি রহমতউল্ল্যা জানান, সালথা উপজেলা ও ফরিদপুর সদরের এই সংযোগ স্থলে রাস্তা নির্মাণ করার দাবী আমাদের অনেক দিনের। এই রাস্তা হলে সালথা ও ফরিদপুরের সীমান্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভাবুকদিয়া ঠেনঠেনিয়া হয়ে খুব সহজেই সালথা বাজার ও ফরিদপুর সদরে যাতায়াত করতে পারবে।

উল্লেখিত, সড়কটি ও সড়কের মাঝখানে একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর বিগত ৫০ বছরের কষ্ট লাঘব হবে। তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করতে সময়ও কম লাগবে। অর্থ ও শ্রম দুটোই বাঁচবে।

স্থানীয় কৃষক করিম এ প্রতিনিধিকে বলেন, বটতলা থেকে ঠেনঠেনিয়া বাজারের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এই এক কিলোমিটার রাস্তার অভাবে ৬/৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে কানাইপুর বাজারে যেতে হয়। তেমনি ৯/১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে সালথা বাজারে গিয়ে ফসল বিক্রি করতে হয়।

এতে ফসল পরিবহনে খরচও বৃদ্ধি পায় এবং সময়ও বেশী লাগে। ফলে কষ্ট করে ফসল ফলানো কৃষকদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে বহু বছর ধরে।

এই বিষয়ে, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুঁদ মাতুব্বর বলেন, বিষয়টি আমি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমলে নিলাম। পাশা-পাশি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে যাতে ঐ রাস্তাটি এবং ব্রীজ নির্মাণ করা যায়, সে বিষয়ও দেখবো ইনশাল্লাহ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: