রাতে ও দিনে শীতার্ত মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে হাজির মেয়র পুত্র
সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর):
কথায় আছে মাঘের শীতে বাঘে কান্দে। আর সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার মানুষ মাঘের শুরুতেই শীতের তীব্রতা টের পাচ্ছে।
সবচেয়ে কষ্টে আছে অসহায়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। হাড়কাপুনী এ শীতে শীতার্ত মানুষের পাশে রাতে ও দিনে কম্বল নিয়ে হাজির শেরপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের পুত্র শিহাব আহমেদ কিবরিয়া শ্রাবণ।
২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি তিনদিন শেরপুর শহরের বিভিন্ন মহল্লা ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোতে ঘুরে ঘুরে পাঁচ শতাধিক কম্বল বিতরণ করেন।
গত শুক্রবার রাত তখন পৌনে এগারোটা। শীতে জুবুথুবু হয়ে আব্দুর রশিদ (৫৫) তার রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। শেরপুর পৌর পার্কের সামনে আব্দুর রশিদের হাতে শীতের কম্বল তুলে দেন মেয়র পুত্র শিহাব আহমেদ কিবরিয়া শ্রাবন।
কম্বল হাতে পেয়ে আঃ রশিদ বলেন, বাবারে আল্লাহ তুমারে বাঁচাই রাহুক, গেল বছর করোনায় মধ্যে চাউল, ডাইল, তেল ও লবন দিছিলা, আমি পাইছিলাম। এইবার তুমার কম্বলও পাইলাম। আমার কি যে ভালা লাগতাছে, বুঝাবার পাইতাম না।
বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কম্বল পেয়ে জমেলা বেগম (৬০) বলেন, শীতের নামছে থাইক্যা অনেক কষ্ট পাইতেছিলাম। বাবা তোমার আল্লায় বালা করুক। এই কম্বলডা কোন রহমে পাইচ্যা শীতটা কাডাবার পামু।
শিহাব আহমেদ কিবরিয়া শ্রাবন বলেন, ‘শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়াই’ স্লোগানকে সামনে রেখে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনদিনে পাঁচ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল তুলে দিয়েছি। এ কর্মসূচী অব্যহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত, পরিবেশ বিষয়ক উপ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিফাত, ছাত্রলীগের মাজেদ, সোহেল, মনির, স্বাক্ষর, মুফিদ, চাঁদসহ জেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।