ঝুকিপূর্ন বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা লাখো মানুষের
ফয়সাল আহমেদ, (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গুদাড়াঘাটে নেতাই নদের উপর নেই সেতু। চরম ভোগান্তিতে রয়েছে নদের দু’পাড়ের লাখো মানুষ। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই নদের পারাপারে একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,শুষ্ক মৌসুমে নদে যখন পানির প্রবাহ কমে যায়, তখন স্থানীয় এলাকাবাসীর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দু’পাড়ের লাখো মানুষ প্রতিনিয়তই আসা-যাওয়া করে। নিত্যদিনই এ পথে ঘোঁষগাও ও দক্ষিন মাইজপাড়া ইউনিয়নের,পুঁটিমারি,গাছুয়াপাড়া,কালিকাবাড়ি,চারুয়াপাড়া সহ প্রায় ২০ টি গ্রামের সাধারণ মানুষ ব্যবসা বানিজ্য, বিরোধ নিস্পত্তি, মামলা মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন জটিলতা ও তাদের প্রয়োজনে উপজেলার সদরে আসেন।
এছাড়াও নেতাই নদের অন্তরভুক্ত রয়েছে ৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩ টি মাদ্রাসা। বর্ষা মৌসুমে নদের দু’পার পানিতে একাকার হয়ে যায়। এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নৌকায় চলাচলে একাধিকবার দূর্ঘটানায় শিকার হয়েছে বলে জানান অভিভাবকগন।
দূর্ঘটনা থেকে রেহায় পায়নি মোটরসাইকেল চালকরাও,অনেকেই সাঁকো পার হতে গিয়ে নদীতে পরে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়দের জোর দাবি,কালিকাবাড়ি ঘাটে মাত্র ১২০ মিটার সেতু নির্মিত হলে নদের দু’পাড়ে লাখো মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দীর্ঘদিনের দাবী এই সেতুটি নির্মিত হলে রোগীদের সহজেই নেওয়া যাবে হাসপাতালে।
বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পার হতে হবে না ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের। নিরাপদে দ্রুত সময়ে নদী পার হতে পারবেন উভয় পাড়ের মানুষ।
নবনির্বাচিত ঘোষগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, কালিকাবাড়ি ঘাটে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেং এর সহযোগিতায় সেতুটি দ্রুত নির্মাণে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো।
ধোবাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘোষগাঁও কালিকাবাড়ি ঘাটে ১২০ মিটার সেতু নির্মাণের সকল তথ্যাদি সদর দপ্তরে পাঠিয়েছি। সেতুটি নির্মাণ হলে ৫ টি গ্রামীণ বাজার,৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,৩ টি মাদ্রাসা ও পুটিমাড়ি মিশন,বিজয়পুর ক্যাম্প, চিনামাটি পাহাড় সহ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এতে শিক্ষা, বিজিবি টহল ও ব্যবসায়ী কার্যক্রম বৃদ্ধিপাবে।