২ জনকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশে আগুন দেন তারা
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও পারভেজকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি আমান ভূইয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পিবিআইয়ের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, হত্যার পাঁচ বছর পর এই মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছেন তারা। গ্রেফতারকৃত আমান ভূইয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাপ্পি সিকদার ও আমান ভূইয়া। তাদের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ঘাড়মোড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে (পিবিআই)।
জবানবন্দিতে আমান ভূইয়া জানান, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে কাশিপুর হোসাইনি নগর এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে আমান ভূইয়া ও বাপ্পি সিকদারের নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও পারভেজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে লাশ বিকৃত করার জন্য গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামি বাপ্পি সিকদার ও আমান ভূইয়া।
এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার ভয়ে মামলা না করলেও পুলিশ বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে এলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাকিল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি বন্দরের ঘাড়মোড়া এলাকা থেকে বাপ্পি সিকদার এবং ১৬ জানুয়ারি আমান ভূইয়াকে গ্রেফতার করেন। পরে আমান ভূইয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুনাহারের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।