শিরোনাম

South east bank ad

লেভেল পরিবর্তন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে

 প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ আবু জুবায়ের উজ্জল, (টাঙ্গাইল):

কম দামের এডমিক্সার কংক্রিটগুলোর ড্রামে শুধু লেভেল (স্টিকার) পরিবর্তন করে চড়া দামে বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে অরুন হালদারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ দিন যাবত এই প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আরএমসি কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড-এর এডমিক্সার কংক্রিটের টাঙ্গাইলের ডিলার অরুন হালদার। সম্প্রতি শহরের বেলটাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফারুক নামের এক ব্যক্তির বহুতল ভবনের কাজ করার সময় বিষয়টি নজরে আসে। এরপরই প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে উঠে আসে।

স্থানীয়রা জানান, অরুন হালদার আরএমসি কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড-এর এডমিক্সার কংক্রিটের টাঙ্গাইলের ডিলার হিসেবে শহরের আদালতপাড়া এলাকায় গোডাউন ভাড়া নেয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের বিভিন্ন এলাকার বহুতল ভবনের নির্মাণকাজে ও বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাইম্যানের মাধ্যমে এই এডমিক্সারগুলো পাইকারী ও খুচরা দামে বিক্রি করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ডালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ১৮০০ টাকা মূল্যের এডমিক্সার কংক্রিটের এডিকন প্লাস নামের একটি ড্রামে প্লাস্টারের কাজে ব্যবহৃত ২৮০০ টাকা মূল্যের ড্রামে প্লাস্ট-১০০-এর লেভেল (স্টিকার) লাগিয়ে তা বিক্রি করে।

সম্প্রতি শহরের বেলটাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফারুকের বহুতল ভবনে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে এমন প্রতারণার বিষয়টি বেড়িয়ে আসে। ওই সময় নাছির নামের এক সাপ্লাইম্যানকে আটক করে স্থানীয় জনতা। তখন নাছির ডিলার অরুন হালদারের এমন প্রতারণার বিষয়টি ভবনটির মালিক ফারুকসহ স্থানীয়দের প্রকাশ্যে জানান। আটকের পর ড্রামে লেভেল পরিবর্তনের সময় অরুন হালদারের একটি ভিডিও সবাইকে দেখান।

ফারুক নামের এই বাসাটির মালিক বলেন, ‘বাসা-বাড়ি ও কনস্ট্রাকশন কাজে কংক্রিটের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য এডমিক্সার ব্যবহার করা হয়।
ডালাইয়ের কাজে এডিকন প্লাস ও প্লাস্টারের কাজে প্লাস্ট-১০০ ব্যবহার হয়ে থাকে। এই দুইটিই অরুন হালদারের কাছে অর্ডার করা হয়। পরে তিনি সাপ্লাইম্যান নাছিরের মাধ্যমে এডিকন প্লাস ও প্লাস্ট-১০০ আমার বাসায় পাঠান। কাজ করার সময় প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ দুইটি ড্রামে একই ধরণের পণ্য থাকার বিষয়টি দেখতে পান। তখন তার কাছে এই লেভেলের বিষয়টিও নজরে আসে। এরপর সাপ্লাইম্যান নাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অরুন হালদারের প্রতারণার বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করেন।

ফারুকের বহুতল ভবনে কাজ করা সাইট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ফারুক সাহেবের বাসায় কনস্ট্রাশনের কাজ চলছে। আমি অরুন হালদারের কাছে দুইটি এডমিক্সার অর্ডার করি। পরে সাপ্লাইম্যান নাছিরের মাধম্যে আমার কাছে পাঠায়। আমার সন্দেহ হলে সবার সামনে ড্রাম দুইটি খোলার পর দেখা যায়, দুইটি ড্রামের মধ্যেই একই কেমিক্যাল। তখন দেখে বুঝতে পারি শুধু লেভেল পরিবর্তন করা হয়েছে। ভেতরের কেমিক্যাল একই। পরে নাছিরকে চাপ দিলে সে বিষয়টি স্বীকার করে।

সে জানায়, এটা আমাদের কোনও দোষ নেই, অরুন হালদার অনেকদিন ধরেই এমন কাজটি করে আসছে। তিনি ১৮০০ টাকার কেমিক্যালে শুধু লেভেল পরিবর্তন করে ২৮০০ টাকা বিক্রি করতে আসছে। এতে প্রতিটি কেমিক্যালে তার ১ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে।’

আরএমসি কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড-এর এডমিক্সার কংক্রিটের টাঙ্গাইলের ডিলার অরুন হালদারের সাপ্লাইম্যান মো. নাছির বলেন, অরুন দীর্ঘদিন ধরেই কেমিক্যালে লেভেল পরিবর্তন করে অনেক মানুষের সাথে প্রতারণ করে আসছে। এটা আমি দেখেছি, এটা নিয়ে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেনি। পরবর্তীতে বেলটাবাড়ির একটি সাইটে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। সেখানে আমাকে আটক করেছিল। পরে আমি অরুনের প্রতারণার কথা তাদের জানিয়ে দিয়েছি। অরুন হালদার এডিকন প্লাসের ড্রামের গায়ে প্লাস্ট-১০০-এর লেভেল লাগিয়ে অতিরিক্ত দামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছে।’

অভিযুক্ত অরুন হালদার বলেন, ‘এই মিস্টেকটা আমাদের না। কোম্পানি থেকে একই ড্রামে আসে, শুধু লেভেল পরিবর্তন হয়ে। এটা পরিবর্তন করার কোনও প্রশ্নই আসে না। কারণ আমরা তো আর লেভেল লাগাই ন

এরপর লেভেল পরিবর্তনের ভিডিও এর কথা জানানো মাত্রই কোন জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেয়। তারপর বার বার তার ফোনে চেষ্টা করা হলেও রিসিভ করেনি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: