পূর্ব শত্রুতার জেরে তৃতীয় লিঙ্গের লাভলী খুন
গোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর):
তৃতীয় লিঙ্গের লাভলী হত্যায় গত ২৪ ঘন্টায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় আটকৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি, কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে আটককৃতরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হিজড়া সম্প্রদায়ের পরিচালনা, আর্থিক ভাবে লাভবান এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আটককৃতরা হলো, যশোর সদর উপজেলার দোগাছিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে শাকিল পারভেজ, ঝাউদিয়া গ্রামের শাহাজুল বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান, খোলাডাঙ্গা জিয়াউর রহমানের স্ত্রী নাজমা ওরফে তৃতীয় লিঙ্গের নাজমা, একই এলাকার সুজন হোসেনের স্ত্রী সেলিম ওরফে তৃতীয় লিঙ্গের সেলিনা
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ রূপন কুমার সরকার জানান, ডিবির সদস্য এসআই মফিজুল ইসলাম ও কোতয়ালি থানার পুলিশের একটি দল গত শনিবার (৮জানুয়ারি) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শাকিল, মেহেদি হাসান, নাজমা ও সেলিনাকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বার্মিজ চাকু, ১টি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি করাত কুড়াল, ৩ রাউন্ড গুলির বুলেট ও ২ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করে ডিবি পুলিশ জানায়, হিজড়া সম্প্রদায়কে পরিচালনা করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আকাংখা, পূর্ব বিরোধের জের ও অন্যান্য আর্থিক লাভবানের জন্য আটককৃতরা ও পলাতক জিয়াউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন পরস্পর যোগসাজসে হিজড়া লাভলীকে হত্যা করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে।
সে মোতাবেক শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাভলীর ইজিবাইককে গতিরোধ করে আসামি শাকিল পারভেজ ও মেহেদী হাসান তাদের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে গুলি করে । কিন্তু গুলি মিস ফায়ার হলে শাকিলের হাতে থাকা বার্মিজ চাকু দ্বারা মুখমন্ডলের বিভিন্ন জায়গায় ও গলায় পোচ দিয়ে রক্তাক্ত করে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
অস্ত্রগুলি উদ্ধার ও হত্যা সংক্রান্তে কোতয়ালী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। এসআই মফিজুল ইসলাম অস্ত্রগুলি উদ্ধার সংক্রান্তে মামলা দায়ের করেন এবং লাভলীর ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।