শিরোনাম

South east bank ad

বৃহত্তর ময়মনসিংহে ১৬ জানুয়ারি থেকে যান চলাচল বন্ধের আল্টিমেটাম মালিক সমিতির

 প্রকাশ: ০২ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. নজরুল ইসলাম, ময়মনসসিংহ :

খানাখন্দে ভরা ভাঙাচোরা রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থেকে তীব্র জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ। অবিলম্বে
জনদুর্ভোগ নিরসনে ঢাকা-ময়মনসিংহ জয়দেবপুর-টঙ্গীর ১২ কিলোমিটার সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করে গাড়ি চলাচল উপযোগী করা না হলে পরিবহন শিল্পসহ সকল ব্যবসায়ী মহলকে রক্ষা করার জন্যে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতি।

গতকাল রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন মন্তা। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর সহসভাপতি ও দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা, জিলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, সহ সভাপতি অধ্যাপক শ্যামল দত্ত, কোচ বিভাগের সম্পাদক সোমনাথ সাহা প্রমুখ।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর-টঙ্গীর ১২ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা ভাঙাচোরা রাস্তা এখনো পুরোপুরি মেরামত না হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ টঙ্গী-গাজীপুরের সড়কের পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও নাজুক হয়ে উঠছে। এতে যাত্রীদের অবর্ণণীয় দুর্ভোগে পড়ে অসংখ্য কর্মঘন্টা নষ্ট হয়ে অর্থ অপচয়, ব্যবসায়ী ও পরিবহনে অতিরিক্ত খরচের কারণে এখন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সকলেই।

মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন মন্তা লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ অনেকটাই দৃশ্যমান। এত উন্নয়নের জোয়ারের মাঝেও কোথাও কোথাও উন্নয়ন হোচট খাচ্ছে। ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ১ ঘন্টা ১৫মিনিট সময়ে গেলেও, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মহাখালী যেতে সময় লাগছে ৩ থেকে ৫ঘন্টার মত। এক্সপ্রেসওয়ের কাজও যেমন ঢিমেতালে এগুচ্ছে, তেমনি গাড়ি চলাচলের রাস্তাও বিভিন্ন খানা-খন্দে ভরা। প্রধানমন্ত্রী চালকদের ৮ঘন্টা গাড়ি চালানোর সুপারিশ করেছেন। কিন্তু চালকদের গাজীপুর-ঢাকার যানজটেই কেটে যাচ্ছে কর্মের ৮ঘন্টা। যন্ত্রাংশ, টায়ার সহ নতুন নতুন গাড়ির কর্মমতাও তির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতি নিয়ত।

ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পরিবহন মালিক শ্রমিকগণ নিজস্ব জরীপে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি। আমাদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রতি মিনিটে ৭টি যাত্রিবাহী গাড়ি বিভিন্ন রোড থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকা অভিমুখে চলাচল করছে। হিসেব অনুযায়ী ঘণ্টায় যাতায়াত করছে ৪২০টি গাড়ি। ২৪ ঘন্টায় চলাচল করছে দশ হাজার ৮০টি গাড়ি। বিভিন্ন যানজট রাস্তা খারাপের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত জ্বলানি খরচ হয় ২০ লিটার বেশি। হিসেব অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় ১০ হাজার ৮০ গাড়িতে ২ লাখ এক হাজার ৬০০ লিটার তেল লাগে। যার অর্থমূল্য এক কোটি ৬১ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

প্রতিদিন মালিকদের তেল বাবদ নষ্ট হচ্ছে ওই টাকা। দিন দিন পরিবহন শিল্পের এই অতিরিক্ত পরিমান বেড়ে যেতে থাকলে মালিকগণ, তাদের গাড়ির কিস্তিসহ মেরামত যন্ত্রাংশ, টায়ার কোনটাই পরিচালনা করতে পারবে না। গাজীপুর-ঢাকার রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে আমদানী-রপ্তানি সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল বহনে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিও রোধ করা যাচ্ছে
না। তিনি আরও বলেন, পরিবহন শিল্প সহ সকল ব্যবসায়ীক মহলকে রক্ষা করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না ঘটালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: